ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিব আল হাসান এবার ব্যাংক মালিক হচ্ছেন!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ক্রিকেট মাঠের মতো করপোরেট জগতেও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করছেন।

ব্রোকারেজ হাউজ ও স্বর্ণ আমদানি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এবার দেশের ব্যাংক খাতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি।

একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিকানা যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের হাতে। শুধু সাকিব আল হাসান নয়, তার মা শিরিন আক্তারও ব্যাংকটির পরিচালক হচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম ওই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সব ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সে হিসেবে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে হলে সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে জমা রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ব্যবসায়ী হিসেবে সাকিব আল হাসানের হাতেখড়ি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে। এরপর দ্রুত নিজের ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন তিনি। শেয়ারবাজার, স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিব আল হাসান এবার ব্যাংক মালিক হচ্ছেন!

আপডেট টাইম : ০২:২০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ক্রিকেট মাঠের মতো করপোরেট জগতেও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করছেন।

ব্রোকারেজ হাউজ ও স্বর্ণ আমদানি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এবার দেশের ব্যাংক খাতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি।

একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিকানা যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের হাতে। শুধু সাকিব আল হাসান নয়, তার মা শিরিন আক্তারও ব্যাংকটির পরিচালক হচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম ওই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সব ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সে হিসেবে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে হলে সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে জমা রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ব্যবসায়ী হিসেবে সাকিব আল হাসানের হাতেখড়ি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে। এরপর দ্রুত নিজের ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন তিনি। শেয়ারবাজার, স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন তিনি।