ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনে পাচিং

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩২০ বার

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধানক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পাচিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।
চলতি বোরো মৌসুমেও উপজেলার কৃষকরা ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে নতুন উদ্ভাবিত খুটি (পাচিং) স্থাপন করেছে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার অনেকাংশে কমেছে, পাশাপাশি কৃষকদের অতিরিক্তি ব্যয় কমছে। এতে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের নিজ উদ্যেগে ৭ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে লাইভ পাচিং এবং ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ডেথ পাচিং লাগানো হয়েছে।
দেখা গেছে, পাচিং(খুটিতে) ফিঙ্গে, শালিকাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখিকে বসে থাকতে দেখা গেছে, সুযোগ পেলেই ধানক্ষেতে থাকা ক্ষতিকর পোকাকে খেয়ে ফেলছে পাখিগুলো।এর ফলে জমিতে আর কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি বিষাক্ত কীটনাশকের হুকমি থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এজামুল হক বলেন, পোকার আক্রমন থেকে ধান ক্ষেতকে রক্ষার জন্য ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা একটি প্রচলিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কৃষকেরা স্বল্প খরচেই পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। সহজপুর গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে তার পাচিং(খুটি) লাগে ৬০-৭০টি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনে পাচিং

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধানক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পাচিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।
চলতি বোরো মৌসুমেও উপজেলার কৃষকরা ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে নতুন উদ্ভাবিত খুটি (পাচিং) স্থাপন করেছে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার অনেকাংশে কমেছে, পাশাপাশি কৃষকদের অতিরিক্তি ব্যয় কমছে। এতে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের নিজ উদ্যেগে ৭ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে লাইভ পাচিং এবং ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ডেথ পাচিং লাগানো হয়েছে।
দেখা গেছে, পাচিং(খুটিতে) ফিঙ্গে, শালিকাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখিকে বসে থাকতে দেখা গেছে, সুযোগ পেলেই ধানক্ষেতে থাকা ক্ষতিকর পোকাকে খেয়ে ফেলছে পাখিগুলো।এর ফলে জমিতে আর কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি বিষাক্ত কীটনাশকের হুকমি থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এজামুল হক বলেন, পোকার আক্রমন থেকে ধান ক্ষেতকে রক্ষার জন্য ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা একটি প্রচলিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কৃষকেরা স্বল্প খরচেই পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। সহজপুর গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে তার পাচিং(খুটি) লাগে ৬০-৭০টি।