হাওর বার্তা ডেস্কঃ সমুদ্রের বিস্তীর্ণ এলাকার অনাবিষ্কৃত সম্পদের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন ও জীবিকায় রূপান্তরধর্মী পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন (আনক্লজ) সত্যিকার অর্থেই হতে পারে এসব মানুষের জন্য সমুদ্র-সুযোগকে কাজে লাগানোর পথ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত স্বল্পোন্নত দেশ ও ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জন্য আনক্লজ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের এক সভায় প্রদত্ত বক্তৃতায় একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে সীমাবদ্ধ সম্পদের অর্থনীতিভুক্ত দেশ- মর্মে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি তাদের জন্য গভীর সমুদ্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে মহাসমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমুদ্র-সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য সমুদ্র-প্রযুক্তিতে প্রবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ন্যায্য অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দোহায় অনুষ্ঠিতব্য এলডিসি-৫ কনফারেন্সের প্রস্তুতিমূলক কমিটির যৌথ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দোহা সম্মেলনের প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে সন্নিবেশনের জন্য সমুদ্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বিষয়ক যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তার উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বিভিন্ন ধরণের দূষণ সামুদ্রিক খাদ্যজাল ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যকে মারাত্বকভাবে ব্যাহত করছে। এ প্রেক্ষাপটে মহাসমুদ্রে দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ মোকাবেলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
সমুদ্র জগতের নতুন ও উদীয়মান সম্ভাবনাসমূহে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নারী ও যুবদের আরও বেশি প্রবেশের সুযোগ প্রদানের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
উচ্চপর্যায়ের এ ইভেন্টটির সঞ্চালক ছিলেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ। এলডিসির সভাপতিসহ সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন।