হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মেন্স করে দল থেকে বাদ পড়েছেন। খুব দ্রুতই যে তিনি দলে ফিরছেন না- তা নিশ্চিত। এর মাঝেই আরেকটি দুঃসংবাদ পেলেন ভারতের তরুণ অল-রাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া। মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত রিয়াজ ভাট্টির স্ত্রী রেহনুমা ভাট্টি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগে হার্দিক ছাড়াও সাবেক পেসার মুনাফ প্যাটেল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তথা রাজনীতিবিদ রাজীব শুক্লার নামও উঠে এসেছে!
রেহনুমা জানিয়েছেন, তার বিধবা মাকে হুমকি দিয়ে রেহনুমাকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন রিয়াজ ভাট্টি। বিয়ের পর তাকে নিয়মিত অত্যাচার করা হতো। ব্যবসায়িক সঙ্গীদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পাঠানো হতো। তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করা হতো। বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে অত্যাচার বাড়ত। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী মুনাফ প্যাটেলের সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেলে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। আর ২০১৪-১৫ সালে ‘ট্রাইটেন্ড’ নামে এক হোটেলে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তাকে বাধ্য করা হয়।
লিখিত অভিযোগে রেহনুমা আরও বলেছেন, হার্দিক পান্ডিয়া তার দুই বন্ধুকে নিয়ে তার সঙ্গে অস্বাভাবিক সব যৌনাচার করেছেন। এ সময় ওই তিনজনই মদ্যপ ছিলেন। এছাড়া কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা ও তার বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আপত্তি করায় তিনি তাদের দ্বারা মারধরের শিকার হন। এরপর তাদের সামনে নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল রেহনুমাকে। শেষ রীতিমতো গণধর্ষণ করা হয় রেহনুমাকে। ২০১২-১৩ সালের সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও দিয়ে নাকি রেহনুমাকে এখনও ব্ল্যাকমেইল করা হয়!
রেহনুমা জানিয়েছেন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ২০১৬ সালে রিয়াজ ভাট্টির থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাকে অপহরণ করে আবারও এসব কাজে নামতে বাধ্য করেন রিয়াজ। কথা না শুনলে দুই সন্তানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনো কোনো এফআইআর করা হয়নি। রেহনুমা ভাট্টি ‘দ্য প্রিন্ট’ পত্রিকার কাছে দাবি করেছেন, ‘আমি পুলিশের কাছে এফআইআর করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা কোনো সাহায্য করছে না। আমি গত সেপ্টেম্বরে আবেদন করেছি, এখন নভেম্বর চলছে। আমি পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমাকে ঘুষ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি কেন দুর্নীতি বাড়াব? আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। ওরাই তো সন্ত্রাসী।’ মুম্বাই পুলিশ বলছে, তারা এখনও কোনো ‘প্রমাণ পাননি’।