ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়ে আবারো আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন সোসাইটির সাবেক সদস্য নিউইয়র্ক প্রবাসী ওসমান চৌধুরী।

দুই বছর মেয়াদি কমিটির চলতি নির্বাচন ঘোষণার আগে নির্দিষ্ট সদস্য ফি দিয়ে কেউই সদস্যপদ নবায়ন করেননি এবং এমনকি ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করার ফলে সোসাইটির প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে মর্মে তিনি নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়েছেন আদালতে। শুক্রবার ১২ নভেম্বর দুপুরে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

ওসমান চৌধুরী জানান, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী স্থগিত আদেশ প্রদানের আগে বিবাদীদের নোটিশ দিয়ে অবহিত করতে হয়। তিনি সেই নিয়ম মেনেই তাদের আদালতের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জ্যামাইকার কুইন্স কাউন্টির সুপ্রিম কোর্টে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ইচ্ছা হলে যথাসময়ে বিবাদীরাও আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের যুক্তিযুক্ত মতামত প্রদান করতে পারবেন বলে জানান ওসমান।

তিনি ২০১৮ সালেও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণে তার অধিকার ফিরে পেতে এবং তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নেননি।
তিনি আগের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেছেন; যার ইনডেস্ক নম্বর ৭৮৫০/২০১৮। এ বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি, নির্বাচন কমিশন, সাবেক (প্রয়াত) সভাপতি কামাল আহমেদ এবং এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রব-রুহুল পরিষদের আব্দুর রব মিয়া, রুহুল আমীন সিদ্দিকী, নয়ন-আলী পরিষদের কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), মোহাম্মদ আলী এবং জয়নাল আবেদীনকেও নোটিশ করেছেন ১০ নভেম্বর বুধবার।

নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে ওসমান চৌধুরী এহেন সিদ্ধান্তের ফলে সোসাইটির নির্বাচন আবারো স্থগিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনি ওসমান চৌধুরী নিজেও আশাবাদী যে তিনি বিচারককে সঠিকভাবে বিষয়টি বোঝাতে পারলে জরুরিভিত্তিতে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিতে পারেন। শুক্রবার তিনি যদি সুপ্রিম কোর্টে অর্ডার টু শোকজ পিটিশন দাখিল করেন এবং তার পিটিশন বিষয়ে শুনানি হয়, তাহলে শুক্রবার শুনানির পর এ ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। আদালত যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তাহলে নির্বাচন আবারো স্থগিত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালতে

আপডেট টাইম : ১০:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়ে আবারো আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন সোসাইটির সাবেক সদস্য নিউইয়র্ক প্রবাসী ওসমান চৌধুরী।

দুই বছর মেয়াদি কমিটির চলতি নির্বাচন ঘোষণার আগে নির্দিষ্ট সদস্য ফি দিয়ে কেউই সদস্যপদ নবায়ন করেননি এবং এমনকি ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করার ফলে সোসাইটির প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে মর্মে তিনি নির্বাচন স্থগিতের আদেশ চেয়েছেন আদালতে। শুক্রবার ১২ নভেম্বর দুপুরে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

ওসমান চৌধুরী জানান, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী স্থগিত আদেশ প্রদানের আগে বিবাদীদের নোটিশ দিয়ে অবহিত করতে হয়। তিনি সেই নিয়ম মেনেই তাদের আদালতের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জ্যামাইকার কুইন্স কাউন্টির সুপ্রিম কোর্টে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ইচ্ছা হলে যথাসময়ে বিবাদীরাও আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের যুক্তিযুক্ত মতামত প্রদান করতে পারবেন বলে জানান ওসমান।

তিনি ২০১৮ সালেও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণে তার অধিকার ফিরে পেতে এবং তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নেননি।
তিনি আগের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেছেন; যার ইনডেস্ক নম্বর ৭৮৫০/২০১৮। এ বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি, নির্বাচন কমিশন, সাবেক (প্রয়াত) সভাপতি কামাল আহমেদ এবং এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রব-রুহুল পরিষদের আব্দুর রব মিয়া, রুহুল আমীন সিদ্দিকী, নয়ন-আলী পরিষদের কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), মোহাম্মদ আলী এবং জয়নাল আবেদীনকেও নোটিশ করেছেন ১০ নভেম্বর বুধবার।

নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে ওসমান চৌধুরী এহেন সিদ্ধান্তের ফলে সোসাইটির নির্বাচন আবারো স্থগিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনি ওসমান চৌধুরী নিজেও আশাবাদী যে তিনি বিচারককে সঠিকভাবে বিষয়টি বোঝাতে পারলে জরুরিভিত্তিতে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিতে পারেন। শুক্রবার তিনি যদি সুপ্রিম কোর্টে অর্ডার টু শোকজ পিটিশন দাখিল করেন এবং তার পিটিশন বিষয়ে শুনানি হয়, তাহলে শুক্রবার শুনানির পর এ ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। আদালত যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তাহলে নির্বাচন আবারো স্থগিত থাকবে।