ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানো প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণের নেতারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গণপরিবহণে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়ের প্রশ্নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) বলছে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে গণপরিবহণে যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে সেটি সিএনজিচালিত গণপরিবহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিষয়টি তারা মনিটরিং করবে।

গত ৩ নভেম্বর ডিজেলের দাম বাড়ার পরই প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটে নামেন পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। দাবি তুলেন ভাড়া বাড়ানোর। পরে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণের নেতারা। সেখানে দূরপাল্লার ও মহানগরে বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যাহার করা হয় ধর্মঘট।

রোববার (৭ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার প্রতি কিলোতে ১ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মহানগরে প্রতি কিলোতে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।  এ ছাড়া মহানগরে বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ৮ এবং ১০ টাকা করা হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত কোনো গাড়ির ভাড়া বাড়বে না।

কিন্তু ধর্মঘট থেকে ফিরেই যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠতে থাকে। গত দুদিন ডিজেলচালিত গণপরিবহনের পাশাপাশি সিএনজিচালিত গণপরিবহণেও যাত্রীদের কাছ থেকে মনমতো ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এমনকি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।

গত ৭ নভেম্বর দুপুরে ডিজেলচালিত গণপরিবহণে ভাড়া সমন্বয়ের পর এ বিষয়ে এক প্রশ্নে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সিএনজিচালিত গণপরিবহণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে কিনা- এ বিষয়টি বিআরটিএ মনিটরিং করবে। সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাস চিহ্নিত করতে মালিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা আলাদা স্টিকার লাগিয়ে দেব, যাতে অভিযান চালাতে সমস্যা না হয়।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাস ও মিনিবাসের মালিকদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামবে বিআরটিএ। তারপর স্টিকার লাগানো হবে। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।

এ বিষয়ে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সারওয়ার আলম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের মনিটরিং টিম গতকাল (সোমবার) থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কাজ করছে। এর বাইরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনও তদারকি করছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানো প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণের নেতারা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গণপরিবহণে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়ের প্রশ্নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) বলছে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে গণপরিবহণে যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে সেটি সিএনজিচালিত গণপরিবহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিষয়টি তারা মনিটরিং করবে।

গত ৩ নভেম্বর ডিজেলের দাম বাড়ার পরই প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটে নামেন পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। দাবি তুলেন ভাড়া বাড়ানোর। পরে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণের নেতারা। সেখানে দূরপাল্লার ও মহানগরে বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যাহার করা হয় ধর্মঘট।

রোববার (৭ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার প্রতি কিলোতে ১ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মহানগরে প্রতি কিলোতে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।  এ ছাড়া মহানগরে বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ৮ এবং ১০ টাকা করা হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত কোনো গাড়ির ভাড়া বাড়বে না।

কিন্তু ধর্মঘট থেকে ফিরেই যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠতে থাকে। গত দুদিন ডিজেলচালিত গণপরিবহনের পাশাপাশি সিএনজিচালিত গণপরিবহণেও যাত্রীদের কাছ থেকে মনমতো ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এমনকি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।

গত ৭ নভেম্বর দুপুরে ডিজেলচালিত গণপরিবহণে ভাড়া সমন্বয়ের পর এ বিষয়ে এক প্রশ্নে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সিএনজিচালিত গণপরিবহণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে কিনা- এ বিষয়টি বিআরটিএ মনিটরিং করবে। সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাস চিহ্নিত করতে মালিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা আলাদা স্টিকার লাগিয়ে দেব, যাতে অভিযান চালাতে সমস্যা না হয়।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাস ও মিনিবাসের মালিকদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামবে বিআরটিএ। তারপর স্টিকার লাগানো হবে। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।

এ বিষয়ে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সারওয়ার আলম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের মনিটরিং টিম গতকাল (সোমবার) থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কাজ করছে। এর বাইরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনও তদারকি করছে।’