হাওর বার্তা ডেস্কঃ নূর হোসেন-রুমা দম্পতী। বিয়ে হয়েছে ১৪ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই কোনো না কোনো অসুখ লেগেই থাকতো নূর হোসেনের। চার বছর আগে চিকিৎসক রুমা বেগমকে জানান নূর হোসেনের দুটি কিডনিই নষ্ট। একটি ভালো কিডনি নূর হোসেনের শরীরে প্রতিস্থাপন না করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না।
এরপর থেকে নূর হোসেনের জন্য কিডনি খোঁজা শুরু করেন রুমা। তবে কোথাও না পেয়ে অবশেষে স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দেওয়ার সীদ্ধান্ত নেন রুমা।
রুমা বেগম বলেন, ‘অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ভেবে চিন্তে আমার স্বামিকে কিডনি দিয়েছি। এতে আমাদের পরিবারও খুশি।’
১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এ দম্পতির বড় ছেলে রিফাত স্থানীয় স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ছেলে সিফাতের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নে।
বুড়িমারী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য নূর ইসলাম জানান, এ যুগে এরকম ঘটনা বিরল দৃষ্টান্ত। তারা দুজনই সুস্থ থাকুক।’