ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করতে পুলিশ আইন ২০০৬-এর ৪ বিধিমালা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি সাহিদুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে
আলম।
এ বিষয়ে অনীক বলেন, যেহেতু আইনটি কেন অবৈধ নয় মর্মে রুল জারি হয়েছে, তাই ভাড়াটিয়াদের তথ্য নেয়াটাও অবৈধ হবে।
গত ২২ মার্চ এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, এস এম এনামুল হক ও অমিত দাসগুপ্ত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাড়ির মালিকের মাধ্যমে ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য চেয়ে ফরম বিলি করছে পুলিশ। কিন্তু এ বিধানের ক্ষমতাবলে একজন ব্যক্তির সব ব্যক্তিগত তথ্য পুলিশ চাইতে পারে না। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ দ্রুত যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে।
গত ৩ মার্চ মহানগর এলাকায় বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। গত ১৩ মার্চ রিটটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বসবাসরত সব বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াকে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
রিটটি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাজধানীর প্রায় ভাড়াটিয়া সরবরাহকৃত পুলিশের ফরম পূরণ করে বাড়ির মালিকদের কাছে জমা দিয়েছেন।