হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজের সতীর্থ ও বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করে সমালোচিত হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মারিও ইকার্দি। ২০১৪ সালে সতীর্থ ফুটবলার ম্যাক্সি লোপেসের স্ত্রী ওয়ান্দা নারার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করেন তিনি। ২০১৩ সালে ইকার্দি ও ওয়ান্দার মধ্যে প্রথম দেখা হয়। সেসময় ওয়ান্দা ছিলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড ম্যাক্সি লোপেসের স্ত্রী। এরপর ইকার্দির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ২০১৪ সালে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার কিছু দিনের মধ্যে ইকার্দিকে বিয়ে করেন তিনি।
সেই গল্প পুরানো। নতুন খবর হচ্ছে ফের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইকার্দি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ইকার্দির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী ওয়ান্দা। তিনি লিখেছেন, ‘আরও একটি পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছ তুমি।’ শুধু তাই নয়, এর আগে তিনি ইকার্দিকে আনফলোও করেন। দিন কয়েক আগেই ভক্তরাও ধারণা করছিল সাংসারিক ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন ইকার্দি। কারণ সেই সময়টিতে ওয়ান্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমি আলাদা হয়ে গেছি।’
ঠিক সেই সময়টিতেই আবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন ইকার্দি। সেসময় বিয়ের আংটি ছাড়া নিজের হাতের একটি ছবি পোস্ট করে জল্পনাকে আরও উস্কে দেন ওয়ান্দা। গত রোববার অবশ্য ওয়ান্দার প্রতি একটি প্রেমময় পোস্ট দিয়ে জল্পনায় পানি ঢালতে চেয়েছিলেন পিএসজি তারকা। দুজনের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘সুন্দর এই পরিবারে বিশ্বাস রাখার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ প্রিয়তমা।’
এ ঘটনার দুদিন পর সব মাটি করে দেন আর্জেন্টাইন মডেল মারিয়া ইউজেনিয়া সুয়ারেস। এই মারিয়াই হলেন ইকার্দির-ওয়ান্দার সম্পর্কে ফাটল ধরানো তৃতীয় পক্ষ। টেলিগ্রামে ইকার্দির সঙ্গে মারিয়ার গোপন কথা-বার্তা, দুজনের ভিডিও ও অডিও মেসেজের প্রমাণও আছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর কাছে। গত বুধবার ইনস্টাগ্রামে নিজেকে ইকার্দির প্রেমিকা দাবি করেন মারিয়া ও লেখেন, ‘আজ আমার নীরব থাকা উচিত হবে না।’ এরপরই তিনি লেখেন, ‘আজ যে পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে তা আমি শুরু করিনি। আমি তাকে প্রলুব্ধ করিনি। আজ যা কিছু ঘটছে তার পেছনে এক বিরাট এবং গভীর গল্প আছে। আমি এমন মানুষের সঙ্গেই মিশেছি যার কথা আমি বিশ্বাস করেছি।’
মারিয়া অভিযোগ করেন, ওয়ান্দার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা বলে ইকার্দি তার সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়েছেন। ওয়ান্দার সঙ্গে ইকার্দির ছবি পোস্ট প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, ‘একটি সুখী পরিবার টিকে থাকার খরচ আমি বহন করছি। অথচ যে এই ভুলটি করেছে সেই বিচারবোধহীন মানুষটি দিব্যি সুখে আছে। আমার পরিবারের কথা ভেবে আমি নীরব ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার নিজের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছি।’ ইকার্দির স্ত্রীর নাম না উল্লেখ করে মারিয়া দাবি করেন, এক নারী যেমন খুশি তার ওপর রাগ ঢেলে দিচ্ছেন। এ ঘটনার পর ওয়ান্দাও দেরি করেননি প্রতিক্রিয়া দেখাতে। তিনিও ইকার্দির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি আমার পরিবারের যত্ন নেব। আর জীবন নিজেই ওইসব দুঃখীদের যত্ন নেবে।’