হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং তুর্কি ট্রাভেলার্স ক্লাবের সাথে যৌথভাবে গতকাল ৬ অক্টোবর ২০২১ বাংলাদেশের সম্ভবনাময় পর্যটন শিল্পের ওপর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে ক্লাবের সভাপতি সেলমান আরিঞ্জ ও সাধারণ সম্পাদক আহমেত চোস্কুনাইদিনসহ অর্ধশতাধিক ক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য, নান্দনিক পর্যটন স্থান এবং বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি-সংস্কৃতির ওপর দু’টি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন এবং অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন ও অপরূপ পর্যটন স্থানসমূহের পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, পর্যটন শুধুমাত্র দু’দেশের জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ ও বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করে না, তা তাদের মধ্যে বিরাজমান সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধকে আরো সুদৃঢ় করে, যা ধাপে ধাপে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিক্ষাসহ অন্যান্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রসমূহে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রসঙ্গত, তিনি বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে পর্যটন সহযোগিতাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন । করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পর্যটন শিল্পকে একটি সম্ভবনাময় খাত হিসেবে চিহ্নিত করে, তুর্কি ট্রাভেলার্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দকে বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সেলমান আরিঞ্জ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানসমূহের পাশাপাশি এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে পেরে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য কনস্যুলেটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইস্তাম্বুলস্থ তুর্কি ট্রাভেলার্স ক্লাব পর্যটনের মাধ্যমে তুরস্কের সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহের সম্পর্কোন্নয়নে, বিশেষ করে জনগণের মধ্যকার পারস্পারিক বন্ধন দৃঢ়করণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে। উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্মের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত ‘অ্যা ফটোগ্রাফিক জার্নি উইথ বঙ্গবন্ধু’ বই এবং মুজিববর্ষের লোগো খচিত উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।