ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত করছে মালয়েশিয়া। চলতি অক্টোবর মাসেই বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে দেশটি।

চাষাবাদ ও বৃক্ষরোপণ খাতের ঘাটতি দূর করতেই মূলত বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩২ হাজার শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে এ মাসের মাঝামাঝিতে। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগ জটিলতা এড়ানোর জন্য নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ বহন করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বৃক্ষরোপণ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন। তবে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে আটকে পড়া ২৫ হাজার প্রবাসী কর্মীর চলতি বছর মালয়েশিয়ায় ফেরা অনিশ্চিতই রয়েছে। তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী করোনাকালে যেসব বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা বৈধভাবে দেশে ফিরেছিলেন তাদের মালয়েশিয়ার কর্মস্থলে ফেরার নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ কিভাবে ও কোন প্রক্রিয়ায় দেশটিতে কর্মী পাঠাবে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ চুক্তি করতে গিয়েও বিভিন্ন কারণে বার বার সরে এসেছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মাহাথির মোহাম্মদ সিন্ডিকেটের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে কলিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এখনও তা বন্ধ রয়েছে। এবারও সেই সিন্ডিকেটের আড়ালে কর্মী পাঠানো হবে, নাকি কর্মীবান্ধব কোনো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা করবে সেটা নিশ্চিত নয়।

এর আগে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অনলাইন বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শিগগিরই বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী সম্মতি ব্যক্ত করেন।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় বিদেশি নাগরিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা। ছুটিতে থাকা কর্মীরা কবে প্রবেশ করতে পারবেন নেই কোনো নির্দেশনা।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বর অভিবাসন বিভাগ একটি নোটিশ জারি করে। নোটিশে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া হাইকমিশন একটি নোটিশ জারি করেছে। মিশন নোটিশে উল্লেখ করেছে, মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা, দীর্ঘমেয়াদি পাসধারী, ব্যবসায়ী, ভ্রমণকারী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে কোম্পানির মালিক ‘মাই ট্রাভেল অ্যাপের’ মাধ্যমে তার কর্মীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে বৈধ মালয়েশিয়ান ভিসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণের প্রমাণপত্র এবং কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ থাকতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করছে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত করছে মালয়েশিয়া। চলতি অক্টোবর মাসেই বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে দেশটি।

চাষাবাদ ও বৃক্ষরোপণ খাতের ঘাটতি দূর করতেই মূলত বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩২ হাজার শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে এ মাসের মাঝামাঝিতে। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগ জটিলতা এড়ানোর জন্য নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ বহন করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বৃক্ষরোপণ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন। তবে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে আটকে পড়া ২৫ হাজার প্রবাসী কর্মীর চলতি বছর মালয়েশিয়ায় ফেরা অনিশ্চিতই রয়েছে। তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী করোনাকালে যেসব বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা বৈধভাবে দেশে ফিরেছিলেন তাদের মালয়েশিয়ার কর্মস্থলে ফেরার নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ কিভাবে ও কোন প্রক্রিয়ায় দেশটিতে কর্মী পাঠাবে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। এর আগে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ চুক্তি করতে গিয়েও বিভিন্ন কারণে বার বার সরে এসেছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মাহাথির মোহাম্মদ সিন্ডিকেটের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে কলিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এখনও তা বন্ধ রয়েছে। এবারও সেই সিন্ডিকেটের আড়ালে কর্মী পাঠানো হবে, নাকি কর্মীবান্ধব কোনো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা করবে সেটা নিশ্চিত নয়।

এর আগে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অনলাইন বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শিগগিরই বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী সম্মতি ব্যক্ত করেন।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় বিদেশি নাগরিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা। ছুটিতে থাকা কর্মীরা কবে প্রবেশ করতে পারবেন নেই কোনো নির্দেশনা।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বর অভিবাসন বিভাগ একটি নোটিশ জারি করে। নোটিশে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া হাইকমিশন একটি নোটিশ জারি করেছে। মিশন নোটিশে উল্লেখ করেছে, মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা, দীর্ঘমেয়াদি পাসধারী, ব্যবসায়ী, ভ্রমণকারী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে কোম্পানির মালিক ‘মাই ট্রাভেল অ্যাপের’ মাধ্যমে তার কর্মীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসতে পারবেন। এক্ষেত্রে বৈধ মালয়েশিয়ান ভিসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণের প্রমাণপত্র এবং কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ থাকতে হবে।