এ ব্যাপারে কথা হয়েছে তুরস্কের একটি বেসরকারি ফার্মে কাজ করা বাংলাদেশি মাহমুদ আরিফের সঙ্গে। তিনি তুরস্কের কোনিয়া শহরে আছেন পাঁচ বছর ধরে। তিনি বলেন, আমরা যখন প্রথম এসেছি, তখন এ রকম কোনো সমস্যাই ছিল না। তবে এমন ঘটনা সাধারণত রাজধানীতেই ঘটতে দেখা যায়।
আমেরিকাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার মিডলইস্ট জোনের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের নোয়াখালীর মোজহারুল ইসলাম। তুরস্কের আঙ্কারায় আছেন ২০০৯ সাল থেকে। আঙ্কারার অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনমানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টিই এই সব হামলার মূল উদ্দেশ্য। তবে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শহরের মূল মূল পয়েন্টে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তুরস্ক সরকার। মূলত আক্রমণগুলো রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ায় আসা-যাওয়া সকল গাড়িকেই চেকপোস্টের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।
ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির বায়োলজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সূচনা আক্তার সূচি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে ইস্তাম্বুলে নিরাপত্তা অনেক বাড়ানো হয়েছে। পর্যটনসমৃদ্ধ ও বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ায় সরকার এটির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বিশেষ গুরুত্বসহকারেই দেখছেন বিষয়টি। এখন আমাদের চলাচলের মেট্রোরেল, বাস স্ট্যান্ড ও ইউনিভার্সিটিতে আসা যাওয়ার সময় চেকপোস্ট অতিক্রম করতে হচ্ছে। আমদের মাঝে কিছুটা শঙ্কা কাজ করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তুরস্ক সরকারকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে।
বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে দূতাবাসে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সামপ্রতিককালে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এই সকল হামলার আগে টার্গেট হিসেবে কিছু বিষয়কে নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে সরকারি সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশিরা নিরাপদ রয়েছেন। কিন্তু কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে নাগরিকদের। বিশেষ করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকা, হোটেল ও বাস স্ট্র্যান্ড এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি এই ব্যাপারে দূতালয় প্রধানের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজেও বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ শিরোনাম
তুরস্কে বাংলাদেশিরা ভালো আছেন
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০১৬
- ২৭১ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ