ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুদের মধ্যে মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • ১৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আগামীকাল ৪ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২১’। এ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুর প্রতি তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা স্নেহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে এর ইতিবাচক প্রভাব আগামী দিনের বিশ্বে পড়বে।

তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ি’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী অন্যতম একটি দেশ। এর ১৫ বছর পূর্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় শিশু আইন প্রণয়ন করেন।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি ২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’, ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩’ এবং ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন ২০২১’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ মাকে মাতৃত্বকালীন ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ২০২১ উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহ-মমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক – বিশ্ব শিশু দিবসে রাষ্ট্রপতি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।- বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিশুদের মধ্যে মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১২:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আগামীকাল ৪ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২১’। এ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুর প্রতি তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা স্নেহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে এর ইতিবাচক প্রভাব আগামী দিনের বিশ্বে পড়বে।

তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ি’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী অন্যতম একটি দেশ। এর ১৫ বছর পূর্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় শিশু আইন প্রণয়ন করেন।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি ২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’, ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩’ এবং ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন ২০২১’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ মাকে মাতৃত্বকালীন ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ২০২১ উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহ-মমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক – বিশ্ব শিশু দিবসে রাষ্ট্রপতি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।- বাসস