ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নন-হিউম্যান কনজামশনসহ নানা কারণে চালের আমদানি বেড়েছে -কৃষিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের
ফলে  দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। গড় উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। এখন দেশে প্রতি
শতাংশ জমিতে ১ মণ করে ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে।
বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসল চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে
বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ
হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণি খাদ্য ও
স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

আজ ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অভ্ বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস
অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও
সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি. এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, যে যেভাবে পারছে দেশের বাইরে থেকে নতুন ধরণের ফসলের জাত
নিয়ে আসছে ও চাষ করছে। এটিকে আমরা উৎসাহ দেই, কিন্তু সাথে সাথে দেখতে হবে দেশে এসব
ফসল চাষে কোন ঝুঁকি বা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কিনা। এসব ফসল চাষ আদৌ আমাদের প্রয়োজন
আছে কিনা।

দেশের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘ফার্ম সেক্টর অভ্ বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস
অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইটি ফিডা ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ ফেলোশিপের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে। এর
প্রশংসা করে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর ও সাংবাদিকদের এ যৌথ উদ্যোগকে অভিনন্দন
জানাই। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক ও লাভজনক করতে চাই। এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিরাট
ভূমিকা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

ফিডার সভাপতি রিয়াজ আহমদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার,
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মোহাম্মদ ইউসুফ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক
মনিরুল আলম, ফিডার সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবলু, ফিডার সদস্য কাউসার রহমান,
সিনজেন্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নন-হিউম্যান কনজামশনসহ নানা কারণে চালের আমদানি বেড়েছে -কৃষিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের
ফলে  দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। গড় উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। এখন দেশে প্রতি
শতাংশ জমিতে ১ মণ করে ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে।
বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসল চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে
বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ
হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণি খাদ্য ও
স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

আজ ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অভ্ বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস
অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও
সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি. এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, যে যেভাবে পারছে দেশের বাইরে থেকে নতুন ধরণের ফসলের জাত
নিয়ে আসছে ও চাষ করছে। এটিকে আমরা উৎসাহ দেই, কিন্তু সাথে সাথে দেখতে হবে দেশে এসব
ফসল চাষে কোন ঝুঁকি বা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কিনা। এসব ফসল চাষ আদৌ আমাদের প্রয়োজন
আছে কিনা।

দেশের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘ফার্ম সেক্টর অভ্ বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস
অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইটি ফিডা ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ ফেলোশিপের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে। এর
প্রশংসা করে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর ও সাংবাদিকদের এ যৌথ উদ্যোগকে অভিনন্দন
জানাই। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক ও লাভজনক করতে চাই। এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিরাট
ভূমিকা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

ফিডার সভাপতি রিয়াজ আহমদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার,
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মোহাম্মদ ইউসুফ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক
মনিরুল আলম, ফিডার সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবলু, ফিডার সদস্য কাউসার রহমান,
সিনজেন্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।