ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএসসি-এইচএসসিতে চালুর চিন্তা শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে যোগ্যতার সনদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বর্তমানে সনদের পাশাপাশি দেওয়া হয় ট্রান্সক্রিপ্ট। সনদে শিক্ষার্থী কোন জিপিএ (গড় গ্রেড) পেয়ে পাশ করেছে, সেটা উল্লেখ থাকে। আর ট্রান্সক্রিপ্টে বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর ও গ্রেড উল্লেখ থাকে।

পাবলিক দুই পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কী যোগ্যতা অর্জন করেছে, সেই বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ডও দেওয়ার চিন্তা করেছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীর অর্জিত দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান ও মূল্যবোধের দিকগুলো তুলে ধরে হবে।

জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় (এনসিএফ) রিপোর্ট কার্ড প্রবর্তনের এই কথা উল্লেখ আছে। রূপরেখা প্রণয়ন কমিটি বিষয়টি প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চালুর প্রস্তাব করে। তখন এটি প্রাথমিক স্তরে চালুর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে অবশ্য কেবল ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আজ বেলা ১১টায় এনসিএফ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক আছে।

এই বৈঠক সামনে রেখে মঙ্গলবার কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষাবিদরা প্রাথমিক স্তরেও ‘শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী’ প্রথা চালুর জন্য চাপ দেন। বিষয়টি আজ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উঠতে পারে। শিক্ষার্থীর যোগ্যতার বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে যুগান্তরের কথা হয়।

তিনি বলেন ‘এক্সপেরিয়েন্সিয়াল লার্নিং’-এর (অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন) শিক্ষাক্রম ও পাঠ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী কী যোগ্যতা অর্জন করল, তা জানিয়ে দেওয়া দায়িত্বের অংশ। এজন্যই শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকরা যেসব বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন, এর রেকর্ড রাখবেন। বছর শেষে রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করে অভিভাবকের কাছে দেবেন। আর পাবলিক পরীক্ষায় দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কিছু বিষয় শতভাগ ধারাবাহিক বা স্কুলে শিক্ষকরা শিখনকালীন মূল্যায়ন করবেন। আর যেসব বিষয়ে সামষ্টিক মূল্যায়ন বা কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হবে, সেগুলোয়ও এসএসসিতে ৫০ আর এইচএসসিতে ৩০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীকে যোগ্যতার বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নতুন এনসিএফ বাস্তবায়ন হবে প্রাথমিকের ও মাধ্যমিকের দুটি করে চার শ্রেণিতে। এর আগে আগামী বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যথাক্রমে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০০টি করে ২০০ স্কুলে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন শেষে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে রূপরেখার আলোকে তৈরি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের আলোকে। ২০২৬ সালের একাদশ এবং ২০২৭ সালের দ্বাদশ শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা হবে এটির আলোকে।

রূপরেখার প্রস্তাবে রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রচলিত নম্বরভিত্তিক সনদ বা রিপোর্ট কার্ডের পরিবর্তে বর্ণনামূলক বহুমাত্রিক সনদ বা রিপোর্ট কার্ডের প্রচলন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জনের অগ্রগতির প্রতিফলন থাকবে। জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ বিকাশের অবস্থা এতে উল্লেখ থাকবে। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। সাময়িক ও পরীক্ষায় এটা প্রচলন করা যেতে পারে। এতে আরও বলা হয়, পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই রকম ধারা অনুসরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়নের রিপোর্ট কার্ড এবং পাবলিক পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রণয়ন ও প্রচলন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।

জানা যায়, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে যেভাবে সনদ দেওয়া হয়, সেভাবেই দেওয়া হবে। তবে সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট উভয়টির লেখায় ভিন্নতা আসবে। বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার মূল্যায়নে ‘খুব ভালো’, ‘ভালো’, ‘গড়পড়তা ভালো বা মধ্যম মানের’, ‘কিছু চ্যালেঞ্জ আছে’, ‘বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে’ এসব উল্লেখ থাকবে রিপোর্ট কার্ডে। নম্বরের পরিবর্তে এসব মন্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হলে জিপিএ-৫ এর পেছনে ছোটার প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নীতি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন (কোর কমিটির সদস্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই যোগ্যতার সনদ দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এটা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা সম্পর্কে নিয়োগকর্তারা জানতে পারবেন। ফলে এখন শিক্ষার্থী নিজে নিজেই তার বায়োডাটায় যেটা যুক্ত করেন, সেটা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এটির ভিত্তি হচ্ছে শিখনকালীন মূল্যায়ন। শিক্ষকরা বিভিন্ন মানদণ্ড অনুসরণে শিখনকালীন মূল্যায়ন করবেন। এর কোনোটি দিয়ে সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যেতে পারে। আর কোনো স্তরের শিখনকালীন মূল্যায়নের ফল পাবলিক পরীক্ষার কার্ডে যুক্ত হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এসএসসি-এইচএসসিতে চালুর চিন্তা শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে যোগ্যতার সনদ

আপডেট টাইম : ১০:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বর্তমানে সনদের পাশাপাশি দেওয়া হয় ট্রান্সক্রিপ্ট। সনদে শিক্ষার্থী কোন জিপিএ (গড় গ্রেড) পেয়ে পাশ করেছে, সেটা উল্লেখ থাকে। আর ট্রান্সক্রিপ্টে বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর ও গ্রেড উল্লেখ থাকে।

পাবলিক দুই পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কী যোগ্যতা অর্জন করেছে, সেই বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ডও দেওয়ার চিন্তা করেছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীর অর্জিত দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান ও মূল্যবোধের দিকগুলো তুলে ধরে হবে।

জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় (এনসিএফ) রিপোর্ট কার্ড প্রবর্তনের এই কথা উল্লেখ আছে। রূপরেখা প্রণয়ন কমিটি বিষয়টি প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চালুর প্রস্তাব করে। তখন এটি প্রাথমিক স্তরে চালুর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে অবশ্য কেবল ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আজ বেলা ১১টায় এনসিএফ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক আছে।

এই বৈঠক সামনে রেখে মঙ্গলবার কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষাবিদরা প্রাথমিক স্তরেও ‘শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী’ প্রথা চালুর জন্য চাপ দেন। বিষয়টি আজ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উঠতে পারে। শিক্ষার্থীর যোগ্যতার বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে যুগান্তরের কথা হয়।

তিনি বলেন ‘এক্সপেরিয়েন্সিয়াল লার্নিং’-এর (অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন) শিক্ষাক্রম ও পাঠ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী কী যোগ্যতা অর্জন করল, তা জানিয়ে দেওয়া দায়িত্বের অংশ। এজন্যই শ্রেণিভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকরা যেসব বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন, এর রেকর্ড রাখবেন। বছর শেষে রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করে অভিভাবকের কাছে দেবেন। আর পাবলিক পরীক্ষায় দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কিছু বিষয় শতভাগ ধারাবাহিক বা স্কুলে শিক্ষকরা শিখনকালীন মূল্যায়ন করবেন। আর যেসব বিষয়ে সামষ্টিক মূল্যায়ন বা কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হবে, সেগুলোয়ও এসএসসিতে ৫০ আর এইচএসসিতে ৩০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীকে যোগ্যতার বিবরণী সংবলিত রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নতুন এনসিএফ বাস্তবায়ন হবে প্রাথমিকের ও মাধ্যমিকের দুটি করে চার শ্রেণিতে। এর আগে আগামী বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যথাক্রমে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০০টি করে ২০০ স্কুলে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন শেষে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে রূপরেখার আলোকে তৈরি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের আলোকে। ২০২৬ সালের একাদশ এবং ২০২৭ সালের দ্বাদশ শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা হবে এটির আলোকে।

রূপরেখার প্রস্তাবে রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রচলিত নম্বরভিত্তিক সনদ বা রিপোর্ট কার্ডের পরিবর্তে বর্ণনামূলক বহুমাত্রিক সনদ বা রিপোর্ট কার্ডের প্রচলন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জনের অগ্রগতির প্রতিফলন থাকবে। জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ বিকাশের অবস্থা এতে উল্লেখ থাকবে। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। সাময়িক ও পরীক্ষায় এটা প্রচলন করা যেতে পারে। এতে আরও বলা হয়, পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই রকম ধারা অনুসরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষার্থী মূল্যায়নের রিপোর্ট কার্ড এবং পাবলিক পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রণয়ন ও প্রচলন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।

জানা যায়, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে যেভাবে সনদ দেওয়া হয়, সেভাবেই দেওয়া হবে। তবে সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট উভয়টির লেখায় ভিন্নতা আসবে। বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার মূল্যায়নে ‘খুব ভালো’, ‘ভালো’, ‘গড়পড়তা ভালো বা মধ্যম মানের’, ‘কিছু চ্যালেঞ্জ আছে’, ‘বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে’ এসব উল্লেখ থাকবে রিপোর্ট কার্ডে। নম্বরের পরিবর্তে এসব মন্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হলে জিপিএ-৫ এর পেছনে ছোটার প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নীতি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন (কোর কমিটির সদস্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই যোগ্যতার সনদ দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এটা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা সম্পর্কে নিয়োগকর্তারা জানতে পারবেন। ফলে এখন শিক্ষার্থী নিজে নিজেই তার বায়োডাটায় যেটা যুক্ত করেন, সেটা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এটির ভিত্তি হচ্ছে শিখনকালীন মূল্যায়ন। শিক্ষকরা বিভিন্ন মানদণ্ড অনুসরণে শিখনকালীন মূল্যায়ন করবেন। এর কোনোটি দিয়ে সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যেতে পারে। আর কোনো স্তরের শিখনকালীন মূল্যায়নের ফল পাবলিক পরীক্ষার কার্ডে যুক্ত হবে।