ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনকালে পর্যটন খাতের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার -পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন,
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত পর্যটন অংশীজনদের
সহায়তার জন্য এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫’শ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।
এছাড়াও, পর্যটন শিল্পের ক্ষতি চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের উপায় নির্ধারণের জন্য Crisis
Management Committee গঠন, করোনাকালে পর্যটন শিল্প পুনরায় চালুকরণের জন্য
অনুসরণীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত ও বিতরণ, অনুসরণীয় নির্দেশিকার উপর পর্যটন শিল্পের
অংশীজনদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ট্যুরিজম রিকোভারি প্ল্যান প্রস্তুত করণ, পর্যটন শিল্পে
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা
প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়/দপ্তরের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয়, পর্যটন
শিল্পের বিভিন্ন অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান, জেলা ও উপজেলায়
সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, অন-এরাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রনালয়কে পত্র প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯
এর সংক্রমণ যদি আর না বাড়ে তাহলে আমরা আমাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের
পর্যটন শিল্পকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
একথা বলেন তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুকিং
শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র‌্যালির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন
শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ধারাবাহিক
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য
কাজ করছে সরকার। সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য
প্রযুক্তির প্রসার ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের
বিকাশে সৃষ্টি হয়েছে উপযুক্ত পরিবেশ। তিনি বলেন, দেশে পর্যটন খাতে এখন পর্যন্ত মোট
কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান বৃদ্ধি
ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশি-বিদেশি
পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন
পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রান্তিক মানুষকে পর্যটন শিল্পে আরো বেশি
করে সম্পৃক্ত করার জন্য বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যটন ও কমিউনিটি বেইজড পর্যটন
উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন এদেশের গণমানুষের মুক্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ
করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
পদ্ধতির মাধ্যমেই এদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে UNWTO
কর্তৃক ঘোষিত এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে
বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও
পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল
মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান
মোঃ হান্নান মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ
প্রমূখ।

#

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনকালে পর্যটন খাতের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে সরকার -পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন,
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত পর্যটন অংশীজনদের
সহায়তার জন্য এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫’শ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।
এছাড়াও, পর্যটন শিল্পের ক্ষতি চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের উপায় নির্ধারণের জন্য Crisis
Management Committee গঠন, করোনাকালে পর্যটন শিল্প পুনরায় চালুকরণের জন্য
অনুসরণীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত ও বিতরণ, অনুসরণীয় নির্দেশিকার উপর পর্যটন শিল্পের
অংশীজনদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ট্যুরিজম রিকোভারি প্ল্যান প্রস্তুত করণ, পর্যটন শিল্পে
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা
প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়/দপ্তরের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয়, পর্যটন
শিল্পের বিভিন্ন অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান, জেলা ও উপজেলায়
সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, অন-এরাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রনালয়কে পত্র প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯
এর সংক্রমণ যদি আর না বাড়ে তাহলে আমরা আমাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের
পর্যটন শিল্পকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
একথা বলেন তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুকিং
শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র‌্যালির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন
শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ধারাবাহিক
উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য
কাজ করছে সরকার। সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য
প্রযুক্তির প্রসার ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের
বিকাশে সৃষ্টি হয়েছে উপযুক্ত পরিবেশ। তিনি বলেন, দেশে পর্যটন খাতে এখন পর্যন্ত মোট
কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান বৃদ্ধি
ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশি-বিদেশি
পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন
পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রান্তিক মানুষকে পর্যটন শিল্পে আরো বেশি
করে সম্পৃক্ত করার জন্য বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যটন ও কমিউনিটি বেইজড পর্যটন
উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন এদেশের গণমানুষের মুক্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ
করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
পদ্ধতির মাধ্যমেই এদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে UNWTO
কর্তৃক ঘোষিত এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে
বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও
পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল
মোকতাদির চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান
মোঃ হান্নান মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ
প্রমূখ।

#