প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের জন্য আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সরকারের দুই মন্ত্রী। আদালত অবমানার মামলায় উচ্চ আদালত তলব করার পর রবিবার আদালতে হাজর হন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, সরকারের দুই মন্ত্রীর বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তাদের
বক্তব্যে তারা সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করেছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন সংবিধান রক্ষার, এই শপথ ভঙ্গ করলে পরিণতি কী হবে?
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হকের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার মক্কেল যে জবাব দাখিল করেছেন, সেখানে আদালত অবমাননার দোষ স্বীকার করেছেন। যেহেতু আপনি অবমানার দোষ স্বীকার করেছেন, সেহেতু আপনার পরিণতি কী হবে? সেটির ব্যাখ্যা দিন।
এ পর্যায়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, আমি দোষ স্বীকার করেছি বলেই নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেদ মজুমদার তার জবাব দাখিল করেন। আদালত ওই জবাব গ্রহণ করেনি। পরে জবাব দাখিলের সময় চাইলে আদালত ২৭ মার্চ দিন ধার্য করে। একই সঙ্গে দুই মন্ত্রী আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।