ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের প্রকৃতির ছোঁয়ায় প্রাণে স্নিগ্ধতার পরশ আনতে পরিবেশ দূষণকে ‘না’ বলুন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ বেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, তার ঢেউ প্রত্যন্ত ভাটি বাংলার হাওরেও স্পন্দন জাগিয়েছে। নিকলি থেকে শুরু করে ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম টুরিস্ট হটস্পটে। অনিন্দ্য সুন্দর জলবেষ্টিত প্রকৃতিতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বিমোহিত হচ্ছেন সবাই হাওরের অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে। হাওর এখন সমগ্র বাংলাদেশের রূপসী জনপদ, জাতীয় সম্পদ, সকলের গর্বের ধন। হাওরের এই অমূল্য সম্পদ ও সৌন্দর্যময়তার রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলের জাতীয় কর্তব্য।

বিশেষ করে, হাওরের জলজ প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র, প্রাণময়তার সংরক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। এজন্য, যেকোনও ধরনের দূষণ ও পরিবেশ হানিকর অপতৎপরতা থেকে হাওরকে নির্মল ও মুক্ত রাখতে হবে। বিভিন্ন ময়লা, আবর্জনা, বর্জ্য পদার্থ, বিশেষত প্লাস্টিকের বোতল, ঠোঙ্গা, প্যাকেট, পলিথিন বা ব্যবহার্য সামগ্রী কাজের শেষে হাওরের পানিতে যত্রতত্র ফেলে রাখা হলে তা মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হবে। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রবাহে বিঘ্ন তৈরি হবে এবং মৎস্য প্রজনন ও উদ্ভিদ সম্পদের বিকাশ ব্যাহত হবে।

ইতিমধ্যে পরিবেশ দফতরের পক্ষে শতশত বোতল, প্যাকেট, পলিথিন হাওরের পানিতে ফেলার বিষয়ে সতর্কতা জানানো হয়েছে। এসব পরিবেশ হানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনও রয়েছে। ফলে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়েও আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের মানবিক বিবেক, সৌন্দর্যবোধ ও পরিবেশ চেতনা জাগ্রত করে জাতীয় সম্পদ হাওরকে নির্মল, নিষ্কলুষ ও অটুট রাখতে হবে।

ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থানে ফেলতে হবে। কোনও অবস্থাতেই হাওরের পানিকে দূষিত ও আবর্জনায় পূর্ণ করা যাবে না। হাওরের প্রকৃতির ছোঁয়ায় আমাদের প্রাণে স্নিগ্ধতার পরশ আনতে পরিবেশ দূষণকে ‘না’ বলুন। আমরা চাই দূষণমুক্ত, অমলিন পরিবেশ। ফলে আমাদেরকে সম্মিলিত উদ্যোগে দূষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। শপথ নিতে হবে হাওরের নির্মল ও দূষণহীন পরিবেশ সংরক্ষণের পক্ষে।

কিশোরগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকের ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওরের প্রকৃতির ছোঁয়ায় প্রাণে স্নিগ্ধতার পরশ আনতে পরিবেশ দূষণকে ‘না’ বলুন

আপডেট টাইম : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ বেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, তার ঢেউ প্রত্যন্ত ভাটি বাংলার হাওরেও স্পন্দন জাগিয়েছে। নিকলি থেকে শুরু করে ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম টুরিস্ট হটস্পটে। অনিন্দ্য সুন্দর জলবেষ্টিত প্রকৃতিতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বিমোহিত হচ্ছেন সবাই হাওরের অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে। হাওর এখন সমগ্র বাংলাদেশের রূপসী জনপদ, জাতীয় সম্পদ, সকলের গর্বের ধন। হাওরের এই অমূল্য সম্পদ ও সৌন্দর্যময়তার রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলের জাতীয় কর্তব্য।

বিশেষ করে, হাওরের জলজ প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র, প্রাণময়তার সংরক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। এজন্য, যেকোনও ধরনের দূষণ ও পরিবেশ হানিকর অপতৎপরতা থেকে হাওরকে নির্মল ও মুক্ত রাখতে হবে। বিভিন্ন ময়লা, আবর্জনা, বর্জ্য পদার্থ, বিশেষত প্লাস্টিকের বোতল, ঠোঙ্গা, প্যাকেট, পলিথিন বা ব্যবহার্য সামগ্রী কাজের শেষে হাওরের পানিতে যত্রতত্র ফেলে রাখা হলে তা মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হবে। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রবাহে বিঘ্ন তৈরি হবে এবং মৎস্য প্রজনন ও উদ্ভিদ সম্পদের বিকাশ ব্যাহত হবে।

ইতিমধ্যে পরিবেশ দফতরের পক্ষে শতশত বোতল, প্যাকেট, পলিথিন হাওরের পানিতে ফেলার বিষয়ে সতর্কতা জানানো হয়েছে। এসব পরিবেশ হানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনও রয়েছে। ফলে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়েও আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের মানবিক বিবেক, সৌন্দর্যবোধ ও পরিবেশ চেতনা জাগ্রত করে জাতীয় সম্পদ হাওরকে নির্মল, নিষ্কলুষ ও অটুট রাখতে হবে।

ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থানে ফেলতে হবে। কোনও অবস্থাতেই হাওরের পানিকে দূষিত ও আবর্জনায় পূর্ণ করা যাবে না। হাওরের প্রকৃতির ছোঁয়ায় আমাদের প্রাণে স্নিগ্ধতার পরশ আনতে পরিবেশ দূষণকে ‘না’ বলুন। আমরা চাই দূষণমুক্ত, অমলিন পরিবেশ। ফলে আমাদেরকে সম্মিলিত উদ্যোগে দূষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। শপথ নিতে হবে হাওরের নির্মল ও দূষণহীন পরিবেশ সংরক্ষণের পক্ষে।

কিশোরগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকের ফেইসবুক থেকে নেওয়া।