ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করে দেখতে চায় আদালত। তাই নির্বাচন কমিশন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল বুধবার। এদিনই নির্বাচন কমিশন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নথি যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হরবিন্দর সিং। স্মৃতি ইরানি যে দিল্লি ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেছেন তার সমস্ত নথি এবং এই মামলা সম্পর্কিত অন্যান্য নথিপত্রও পুনরায় আদালতে জমা দেওয়ার জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া গত লোকসভা নির্বাচনের সময় স্মৃতি ইরানি তাঁর শিক্ষাগত সম্পর্কিত যে তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিলেন সেগুলিও আদালতে পেশ করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই দিনই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নির্বাচন কমিশনকে স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সমস্ত নথি জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, দিল্লি ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্স বিভাগে বিএ পার্ট ওয়ান পাশ করেছিলেন বলে দাবি স্মৃতি ইরানির। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় কমিশনেও এই তথ্য পেশ করেছেন তিনি। কিন্তু এই তথ্য মিথ্যা দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন লেখক আহমের খান। তিনি জানান, স্মৃতি ইরানি দশম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ। আইপিসি এবং আরপিএ ধারায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন তিনি। তারপর গত বছরের ২০ নভেম্বর আহমের খানের এই মামলাটি গ্রহণ করে আদালত।