হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ রাত ৩০ আগস্ট সকালে অনলাইনে সরকারি আইসিটি পেশাজীবীদের একমাত্র নিবন্ধিত সংগঠন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম এর আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট ও গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন আফরোজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিষ্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোঃ মোনায়েম উদ্দিন চৌধুরী। সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার ও গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের মহাসচিব প্রকৌশলী রতন চন্দ্র পাল।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক তার আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলার মানুষের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার আধুনিক সংস্কারণই ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির মানবিকীকরণ হোক ১৫ আগস্টের অঙ্গীকার।
প্রধান অতিথি মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তার বীজ বপন করেন জাতির পিতা। তিনি আইসিটি পেশাজীবীদের সরকারকে ডিজিটাল করার আহবান জানান। এতে জনগণ আপনা আপনি ডিজিটাল হবে। ডিজিটাল হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ জাতির সামনে নাই।
বিশেষ অতিথি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন ১৫ আগস্টের চেতনাই ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সূদুরপ্রসারী ভিশনেই বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র আর দুর্নীতিমুক্ত দেশে পরিণত হচ্ছে। গভর্নমেন্ট আইসিটি পেশাজীবীরাই ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রপথিক। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আইসিটি উপদেষ্টার চিন্তার ফসল এই ফোরাম ডিজিটাল বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
ফোরামের সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে ফোরামের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত অতিথিসহ সকল অংশগ্রহণকারী ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন বিশ্ব ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকাণ্ডের পরও বাংলার মানুষের অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি তাঁরই যোগ্য উত্তরসুরী জেষ্ঠ কণ্যা শেখ হাসিনার যুগোপযোগী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। এ ফোরাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত থেকে আইসিটি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারকে সহযোগিতা করে যাবে।
সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মিজানুর রহমান ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ জামাল, শেখ কামাল, শেখ রাসেল সহ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি করোনা অতিমারী থেকে দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রকৌশলী রতন চন্দ্র পাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।