ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার টাঙ্গুয়ার হাওর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
  • ২০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কখনো আকাশের মতো নীল, কখনো আয়নার মতো স্বচ্ছ—এমন স্নিগ্ধ রঙে রাঙা পানিতে টইটুম্বর হাওর-বাঁওর। দূরে মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানি, অগণিত পাখির কলতান আর করচ-হিজল বনের অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার দেখা যাবে শুধু টাঙ্গুয়ার হাওরেই। টাঙ্গুয়ার হাওর মূলত সুনামগঞ্জ জেলার ৫১টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত। কিছু বছর আগেও এই হাওরে যাওয়া ও থাকা দুটিই ছিল যথেষ্ট দুঃসহ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও চাহিদার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়া ও থাকা দুটিই হয়ে গেছে বেশ আরামদায়ক। এই টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য গো যায়ান নিয়ে এসেছে আট ধরনের ট্যুর।

তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথের ভাঙা রাস্তা, সংকীর্ণ নৌকায় হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করা এবং বাথরুমের সমস্যা—সব মিলিয়ে সুন্দর এই হাওরে একসময় সবার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠত না। কিন্তু বর্তমানে সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি হাওরটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা, প্রশস্ত নৌকায় থাকা এবং নৌকার মাঝেই স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক বাথরুমের ব্যবস্থা—সব মিলিয়েই এখন টাঙ্গুয়ার হাওরের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব যথেষ্ট আরামদায়কভাবে।

টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ হলো নৌকায় থাকার দিনগুলো। এই অভিজ্ঞতাটিই টাঙ্গুয়ার হাওরের ট্যুরকে আলাদা করে অন্য সব ট্যুর থেকে। বৃষ্টির সময়ে নৌকায় বসে চায়ের চুমুকে দূর মেঘালয়ের পাহাড়গুলোর দৃশ্য যেন জাগিয়ে তুলে যে কারও ভেতরের কবিকে।

উদরপূর্তির জন্যও টাঙ্গুয়ার হাওর সবার পছন্দের। এই হাওরকে বলা হয় দেশি মাছের আধার বা ‘মাদার ফিশারিজ’। তাই প্রায় প্রতি বেলাতেই খাবারের ব্যবস্থায় থাকে নানান রকমের মাছের আয়োজন। আর যারা হাঁসের মাংস খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য থাকে হাওর এলাকার হাঁসের মাংসের ব্যবস্থা। নৌকার ছাদে বসে আশপাশের সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের সঙ্গে খাবারের আয়োজন, যা খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।
প্রতি মৌসুমে যেমন হাওর সাজে ভিন্ন রূপে, ঠিক তেমনি প্রতি বেলাতেও এর সাজ একেক রকম। ভোরবেলা হাওর থাকে সুনসান এবং স্নিগ্ধ, কিছুক্ষণ পর হাওর হয়ে ওঠে পাখির কলকালিতে পূর্ণ। দুপুর ও বিকেলে দেখা যায় হাওর ও এর চারপাশের বাসিন্দাদের যাপনচিত্র। আর সূর্য ডোবার সময়ে সম্পূর্ণ হাওর ঢেকে যায় সোনালি রঙের চাঁদরে। রাতের ঝকঝকে আকাশে মিটমিট করে তারার মেলা। সৌন্দর্যের এই আমেজে মেতে ওঠেন নৌকার মাঝি নিজেও। তাই সন্ধ্যার পর এই হাওরে প্রায়ই বসে বাউলগানের আসর।

একসময় মনে করা হতো এই হাওরে হয়তো শুধু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই ঘুরতে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে থাকার জন্য আধুনিক ও আরামদায়ক নৌকা প্রচলিত হওয়ায় এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও অনায়াসে এই হাওর ঘুরে আসা সম্ভব। এ জন্য গো যায়ান নিয়ে এসেছে সাত ধরনের নৌকা, যেখানে পরিবারের সঙ্গে কাঠের হাউস বোটে থাকার ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়া কেউ যদি স্বল্প বাজেটের মধ্যে ঘুরে আসতে চান, সে জন্যও আছে মাত্র ১ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে ট্যুরের ব্যবস্থা। তা ছাড়া কেউ চাইলে পুরো একটি নৌকা ভাড়া করে নিতে পারবেন কিংবা অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করেও ট্যুরে যেতে পারবেন।

কল্পনার চেয়েও অপরূপ সুন্দর এই হাওরের রূপের বর্ণনা শুরু করা হলেও, লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই হয়তো ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দ তালিকার প্রথম দিকেই আছে টাঙ্গুয়ার হাওর। সৌন্দর্যের এই রাজ্যে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিবার, প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভ্রমণ করতে চাইলে সাহায্য নিতে পারেন গো যায়ান–এর। আর পছন্দের ট্যুর বুক করতে পারবেন অনলাইনেই https://cutt.ly/WQCWRgf; অথবা বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৬৭৮-৩৩২২১১ নম্বরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার টাঙ্গুয়ার হাওর

আপডেট টাইম : ১১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কখনো আকাশের মতো নীল, কখনো আয়নার মতো স্বচ্ছ—এমন স্নিগ্ধ রঙে রাঙা পানিতে টইটুম্বর হাওর-বাঁওর। দূরে মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানি, অগণিত পাখির কলতান আর করচ-হিজল বনের অপরূপ সৌন্দর্যের সমাহার দেখা যাবে শুধু টাঙ্গুয়ার হাওরেই। টাঙ্গুয়ার হাওর মূলত সুনামগঞ্জ জেলার ৫১টি বিলের সমন্বয়ে গঠিত। কিছু বছর আগেও এই হাওরে যাওয়া ও থাকা দুটিই ছিল যথেষ্ট দুঃসহ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও চাহিদার কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়া ও থাকা দুটিই হয়ে গেছে বেশ আরামদায়ক। এই টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য গো যায়ান নিয়ে এসেছে আট ধরনের ট্যুর।

তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথের ভাঙা রাস্তা, সংকীর্ণ নৌকায় হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করা এবং বাথরুমের সমস্যা—সব মিলিয়ে সুন্দর এই হাওরে একসময় সবার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠত না। কিন্তু বর্তমানে সুনামগঞ্জ থেকে সরাসরি হাওরটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা, প্রশস্ত নৌকায় থাকা এবং নৌকার মাঝেই স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক বাথরুমের ব্যবস্থা—সব মিলিয়েই এখন টাঙ্গুয়ার হাওরের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব যথেষ্ট আরামদায়কভাবে।

টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ হলো নৌকায় থাকার দিনগুলো। এই অভিজ্ঞতাটিই টাঙ্গুয়ার হাওরের ট্যুরকে আলাদা করে অন্য সব ট্যুর থেকে। বৃষ্টির সময়ে নৌকায় বসে চায়ের চুমুকে দূর মেঘালয়ের পাহাড়গুলোর দৃশ্য যেন জাগিয়ে তুলে যে কারও ভেতরের কবিকে।

উদরপূর্তির জন্যও টাঙ্গুয়ার হাওর সবার পছন্দের। এই হাওরকে বলা হয় দেশি মাছের আধার বা ‘মাদার ফিশারিজ’। তাই প্রায় প্রতি বেলাতেই খাবারের ব্যবস্থায় থাকে নানান রকমের মাছের আয়োজন। আর যারা হাঁসের মাংস খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য থাকে হাওর এলাকার হাঁসের মাংসের ব্যবস্থা। নৌকার ছাদে বসে আশপাশের সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের সঙ্গে খাবারের আয়োজন, যা খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।
প্রতি মৌসুমে যেমন হাওর সাজে ভিন্ন রূপে, ঠিক তেমনি প্রতি বেলাতেও এর সাজ একেক রকম। ভোরবেলা হাওর থাকে সুনসান এবং স্নিগ্ধ, কিছুক্ষণ পর হাওর হয়ে ওঠে পাখির কলকালিতে পূর্ণ। দুপুর ও বিকেলে দেখা যায় হাওর ও এর চারপাশের বাসিন্দাদের যাপনচিত্র। আর সূর্য ডোবার সময়ে সম্পূর্ণ হাওর ঢেকে যায় সোনালি রঙের চাঁদরে। রাতের ঝকঝকে আকাশে মিটমিট করে তারার মেলা। সৌন্দর্যের এই আমেজে মেতে ওঠেন নৌকার মাঝি নিজেও। তাই সন্ধ্যার পর এই হাওরে প্রায়ই বসে বাউলগানের আসর।

একসময় মনে করা হতো এই হাওরে হয়তো শুধু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই ঘুরতে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে থাকার জন্য আধুনিক ও আরামদায়ক নৌকা প্রচলিত হওয়ায় এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও অনায়াসে এই হাওর ঘুরে আসা সম্ভব। এ জন্য গো যায়ান নিয়ে এসেছে সাত ধরনের নৌকা, যেখানে পরিবারের সঙ্গে কাঠের হাউস বোটে থাকার ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়া কেউ যদি স্বল্প বাজেটের মধ্যে ঘুরে আসতে চান, সে জন্যও আছে মাত্র ১ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে ট্যুরের ব্যবস্থা। তা ছাড়া কেউ চাইলে পুরো একটি নৌকা ভাড়া করে নিতে পারবেন কিংবা অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করেও ট্যুরে যেতে পারবেন।

কল্পনার চেয়েও অপরূপ সুন্দর এই হাওরের রূপের বর্ণনা শুরু করা হলেও, লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই হয়তো ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দ তালিকার প্রথম দিকেই আছে টাঙ্গুয়ার হাওর। সৌন্দর্যের এই রাজ্যে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিবার, প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভ্রমণ করতে চাইলে সাহায্য নিতে পারেন গো যায়ান–এর। আর পছন্দের ট্যুর বুক করতে পারবেন অনলাইনেই https://cutt.ly/WQCWRgf; অথবা বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৬৭৮-৩৩২২১১ নম্বরে।