ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভিসি নিয়োগ দেবে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ট্রাস্টির পছন্দের লোককে ভিসি বানানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেবে সরকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে মালিকদের একগুচ্ছ ক্ষমতা কমানোর উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা জন্য ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। খুব শিগগিরই এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, ট্রাস্টি বোর্ডের পরিধি ৯ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করে অন্তত ৫ জন শিক্ষাবিদ রাখার বিধান রেখে বিদ্যমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হচ্ছে। এরফলে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে উপাচার্যের প্যানেল দেওয়ার যে সুপারিশ রয়েছে সেটি রহিত হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সরকারই নিয়োগ দেবে ভিসি-প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজে (বিওটি) বর্তমানে ন্যূনতম ৯ জন এবং সর্বোচ্চ ২১ সদস্য রাখার বিধান আছে। প্রস্তাবে ন্যূনতম সদস্য ১৫ এবং এক-তৃতীয়াংশ বা ৫ জন শিক্ষাবিদ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা ২৫ হাজার বর্গফুটের পরিবর্তে ৩৫ হাজার বর্গফুট করার প্রস্তাবও আছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইনে বেশ কিছু পরিবর্তনের জন্য আমরা সুপারিশ করতে যাচ্ছি। এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। আরও দুই-একটি সভা দরকার হবে। এরপর প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

আইন সংশোধনের জন্য কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়ার পর মন্ত্রী নেতৃত্বের বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে জাতীয় সংসদে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হলেও এগুলো মনিটরিং করার জন্য কোনো আইন ছিল না। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয়। এরপর আইনটি নানা সংশোধনী আনতে বিভিন্ন মহলের দাবি ওঠে।

কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি সদস্যদের একটি বড় অংশের বিরোধিতার কারণে এতদিনে সংশোধনী ধামাচাপা পড়েছিল।সর্বশেষ ৪ আগস্ট এটি নিয়ে বৈঠক করে আইনটির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভিসি নিয়োগ দেবে সরকার

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ট্রাস্টির পছন্দের লোককে ভিসি বানানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেবে সরকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে মালিকদের একগুচ্ছ ক্ষমতা কমানোর উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা জন্য ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। খুব শিগগিরই এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, ট্রাস্টি বোর্ডের পরিধি ৯ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করে অন্তত ৫ জন শিক্ষাবিদ রাখার বিধান রেখে বিদ্যমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হচ্ছে। এরফলে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে উপাচার্যের প্যানেল দেওয়ার যে সুপারিশ রয়েছে সেটি রহিত হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সরকারই নিয়োগ দেবে ভিসি-প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজে (বিওটি) বর্তমানে ন্যূনতম ৯ জন এবং সর্বোচ্চ ২১ সদস্য রাখার বিধান আছে। প্রস্তাবে ন্যূনতম সদস্য ১৫ এবং এক-তৃতীয়াংশ বা ৫ জন শিক্ষাবিদ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা ২৫ হাজার বর্গফুটের পরিবর্তে ৩৫ হাজার বর্গফুট করার প্রস্তাবও আছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইনে বেশ কিছু পরিবর্তনের জন্য আমরা সুপারিশ করতে যাচ্ছি। এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। আরও দুই-একটি সভা দরকার হবে। এরপর প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

আইন সংশোধনের জন্য কমিটির সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়ার পর মন্ত্রী নেতৃত্বের বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে জাতীয় সংসদে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হলেও এগুলো মনিটরিং করার জন্য কোনো আইন ছিল না। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয়। এরপর আইনটি নানা সংশোধনী আনতে বিভিন্ন মহলের দাবি ওঠে।

কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি সদস্যদের একটি বড় অংশের বিরোধিতার কারণে এতদিনে সংশোধনী ধামাচাপা পড়েছিল।সর্বশেষ ৪ আগস্ট এটি নিয়ে বৈঠক করে আইনটির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।