প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী জামিন দিয়েছে হাইকোট। এতে করে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আজ বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোট বেঞ্চ রুলের নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন সাংবাদিকদের বলেন, ’প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আজ হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুদুকের এ মামলাসহ তিনটি মামলা ছিল। সকল মামলায় তার জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই’।
তিনি বলেন, ‘এ মামলার এফআইআরে মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্টে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’
এর আগে একই মামলায় হাইকোর্ট মির্জা আব্বাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। সে রুলের নিষ্পত্তি করে আজ মির্জা আব্বাসকে জামিন দেওয়া হলো। বর্তমানে বিএনপির এ নেতা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, বিএনপি জোট সরকারের আমলে মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের মাঝে যেসব প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন তাতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯ শত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। সে মামলায় জামিন চাইতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আব্বাস। শুনানি করে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গত ৭ ফেব্রুয়ারী জামিন আবেদন করেন মির্জা আব্বাস।