হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না উপস্থিত কোনা শিক্ষা কর্মকর্তা। গত ২ আগস্ট বিকেলে জুম ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে। এতে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
ওই দিন ওয়ার্কশপের শিরোনাম ছিলো ‘ডায়াগনস্টিক অ্যাসেসমেন্ট অব গ্রেড সিক্স স্টুডেন্টস’। যার মূল লক্ষ্য- কি কি দূর্বলতা নিয়ে ৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠে তা চিহ্নিতকরণ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
জানা গেছে, ওই ওয়ার্কশপে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের সহকারি পরিচালক লাইলুন নাহার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ২০১১ সালে ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বাংলায় ২৫ শতাংশ ও গণিতে ৩৩ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ সালে তা কমে যথাক্রমে ১২ ও ১৭ শতাংশ হয়েছে।
এসময় লাইলুনকে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, এই যে ২৫ ও ৩৩ শতাংশ থেকে ১২ ও ১৭ শতাংশ হয়েছে- এটা কিসের হিসাব? পাস করেছিল, নাকি ফেল? এই ১২ ও ১৭ শতাংশের ব্যাখা কী? জবাব দিতে পারেননি লাইলুন।
শুধু লাইলুন নাহারই নয়, মন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাসহ ওয়ার্কশপে যুক্ত থাকা সবাই।
যদিও শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা কানাডার উদাহরণ দিতে গেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী তাকে বলেন, কানাডা বিশাল। তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা আর আমাদেরটা এক নয়। তাই কানাডার উদাহরণ দেওয়া অনর্থক।
কারো কাছ থেকে ব্যাখ্যা না পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, এমন প্রেজেন্টেশন যেন আর কখনও করা না হয়।