ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যন্ত্র দিয়ে আমন ধান রোপণ শুরু হল ভূরুঙ্গামারীতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ‍্যোগে প্রথমবারের মতো ‘রাইচ ট্রান্স প্লান্ট’ যন্ত্রের সাহায্যে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে কম খরচে এই যন্ত্র দিয়ে আমন ধান রোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বুধবার (০৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার তিলাই ও পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী ও যোবায়ের জাহিদ এর ৪ বিঘা জমিতে রোপণ যন্ত্র দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণের মধ‍্য দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। এ সময় উপস্হিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউ’পি সদস্য কামরুল হাসান,আসরাফ আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, শাহানুর আলম, স্প্রে মেকানিক শামীম হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ‍্যে হাইব্রিড জাতের ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর, উফশি জাতের ১৪ হাজার ৫৮৭ হেক্টর ও স্হানীয় জাতের ২৪২ হেক্টর।

জানা গেছে, রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১২টি কৃষক দলের মাঝে ১২টি রাইচ ট্রান্স প্লান্টার যন্ত্র বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রতিটি রোপণ যন্ত্রের মূল্যে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

কৃষক আশরাফ আলী বলেন, বিনামূল্যে যন্ত্রটি পেয়ে অল্প সময়ে খুব কম খরচে আমন রোপণ করতে পেরে আমি ভীষণ উপকৃত হয়েছি। আশা করছি এই পদ্ধতিতে ধানের চারা রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকবে ও ফলনও ভাল হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, রাইচ ট্রান্স প্লান্টরের সাহায্যে চলতি মৌসুমে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই স্বল্প খরচে পর্যায়ক্রমে আমন ধান রোপণ করা হবে। ধান রোপণ যন্ত্র দিয়ে জমিতে অল্প সময়ে ও সামান্য পরিশ্রমে সহজেই ধানের চারা রোপণ করা যাবে। এতে ধান উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে। নিদিষ্ট সময়ে ধান রোপণ ও ধানের চারাগুলো সমান দুরত্বে রোপিত হওয়ায় পরিচর্যা করতে সহজ হবে। রোগবালাই কম হবে এবং ফলনও বেশী হবে। আশা করছি চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যন্ত্র দিয়ে আমন ধান রোপণ শুরু হল ভূরুঙ্গামারীতে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ‍্যোগে প্রথমবারের মতো ‘রাইচ ট্রান্স প্লান্ট’ যন্ত্রের সাহায্যে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে কম খরচে এই যন্ত্র দিয়ে আমন ধান রোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বুধবার (০৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার তিলাই ও পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী ও যোবায়ের জাহিদ এর ৪ বিঘা জমিতে রোপণ যন্ত্র দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণের মধ‍্য দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। এ সময় উপস্হিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউ’পি সদস্য কামরুল হাসান,আসরাফ আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, শাহানুর আলম, স্প্রে মেকানিক শামীম হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ‍্যে হাইব্রিড জাতের ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর, উফশি জাতের ১৪ হাজার ৫৮৭ হেক্টর ও স্হানীয় জাতের ২৪২ হেক্টর।

জানা গেছে, রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১২টি কৃষক দলের মাঝে ১২টি রাইচ ট্রান্স প্লান্টার যন্ত্র বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রতিটি রোপণ যন্ত্রের মূল্যে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

কৃষক আশরাফ আলী বলেন, বিনামূল্যে যন্ত্রটি পেয়ে অল্প সময়ে খুব কম খরচে আমন রোপণ করতে পেরে আমি ভীষণ উপকৃত হয়েছি। আশা করছি এই পদ্ধতিতে ধানের চারা রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকবে ও ফলনও ভাল হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, রাইচ ট্রান্স প্লান্টরের সাহায্যে চলতি মৌসুমে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই স্বল্প খরচে পর্যায়ক্রমে আমন ধান রোপণ করা হবে। ধান রোপণ যন্ত্র দিয়ে জমিতে অল্প সময়ে ও সামান্য পরিশ্রমে সহজেই ধানের চারা রোপণ করা যাবে। এতে ধান উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে। নিদিষ্ট সময়ে ধান রোপণ ও ধানের চারাগুলো সমান দুরত্বে রোপিত হওয়ায় পরিচর্যা করতে সহজ হবে। রোগবালাই কম হবে এবং ফলনও বেশী হবে। আশা করছি চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ।