শরীফ সাদীঃ
সৈয়দ আশরাফ,
চাঁদ ছিলে না তুমি
তুমি ছিলে সূর্য,
তোমার অপরিমেয় আলো
আর অবারিত কিরণে
উদ্ভাসিত এ বিস্তীর্ণ প্রান্তর,
কিশোরগঞ্জ।
ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার তীরাঞ্চল
নরসুন্দা,ঘোরাউত্রা,ধনু
হারিয়ে যাওয়া ফুলেশ্বরী।
সবখানে সমভাবে ছিলে তুমি।
না, সূর্যালোক কেবল
সীমিত সীমানায়
সীমাবদ্ধ থাকে না।
তোমার রশ্মি বিতরণেও
কোনো সীমা ছিলো না।
সকল প্রান্তেই তুমি
সমভাবে বিতরিত
অকৃপণ বর্ষিত।
সূর্য আলো দেয় বলেই না
চাঁদের বাহাদুরি।
তোমার আলো নিয়ে মেকী-চাঁদ
কর্জ-সৌন্দর্যের কদর্য দম্ভ
জাহির করে।
আর কতদিন তোমাকে নিয়ে চলবে আয়-রোজগারের খেলা?
তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার
জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী তুমি
নিশ্চয়ই চাওনি।
কোনোরূপ আনুষ্ঠানিকতাই
তুমি পছন্দ করোনি।
তোমাকে নিয়ে ঢোল-পেটানো
ভালোবাসার বর্ণাঢ্য টুর্ণামেন্ট
দিলে “ভালো-বাসাও” হয়,
“ভালো-ব্যবসাও” হয়।
তোমার প্রতি মানুষের
অপরিমেয় শ্রদ্ধা,
তোমার প্রতি মানুষের
আকাশতুল্য ভালোবাসা।
তোমার নামে হাত বাড়ালেই
মুঠি-ভরা অর্থ।
মানুষ জানতো
তোমার অর্থ নেই বিত্ত নেই।
তোমার চিকিৎসা কীভাবে হবে?
তোমার নির্বাচনের খরচ
কীভাবে চলবে?
সেই সুযোগ যদি কেউ নিয়ে থাকে
তাহলে তুমি কি অভিশম্পাৎ করবে না?
এখনও যদি কেউ
তোমার মূল্যবান নাম বিক্রি করে
মূল্য আদায় করতে চায়,
এখনও যদি কেউ
তোমার উর্বর জমি লিজ দিয়ে
বাণিজ্যিক ফায়দা লুটতে চায়
তুমি কি লানৎ বর্ষণ করবে না?
তোমার এবং তোমার জন্মদাতার
পবিত্র নামকে
এখনও যদি কেউ
অপব্যবহার করে চলে,
অবৈধ অর্থ-রোজগারে লিপ্ত থাকে,
তোমার অভিশাপের বজ্রপাতে
পুড়ে যাবে লোলুপ জিহ্বা,
ধ্বসে যাবে অবৈধ প্রাসাদ।