ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত মালয়েশিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য অনেক দেশের মতোই করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হচ্ছে মালয়েশিয়া। মহামারির সবচেয়ে ভয়াবহ ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। দেশটিতে দৈনিক ১৭ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড শনাক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে ১১ লাখ ১৩ হাজার ২৭২ জন মানুষের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কেবল ৩১ জুলাই শনিবারেই সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ১৬৫ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৯ হাজার ২৪ জন মারা গেছেন।
সে দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার হার অনেক কম হওয়ায় প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ছে। রোগীরা সিট না পেয়ে চেয়ারে বসে আছে। তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার শেয়ার করে ব্যবহার করছে।

হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি যাদের ভর্তি করা হচ্ছে, তারা যে শয্যা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।
এ পরিস্থিতিতে গত ২৬ জুলাই দেশটির কয়েক হাজার জুনিয়র চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ওয়াকআউট করেন। চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান তারা।

একদিকে হাসপাতালের মর্গে বাড়ছে লাশের দীর্ঘ সারি। একজন উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছেন, কারণ কেউ তাদের দাবি করতে আসেনি বা তারা অন্যদের মধ্যে আইনি মামলায় আবদ্ধ।
‘বিদেশী নাগরিকদের মৃতদেহগুলির ক্ষেত্রেও আমরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি, কারণ সেখানে দূতাবাস রয়েছে যা পুরনো পদ্ধতির সঙ্গে লেগে থাকে যখন দেহাবশেষ দাবি করা হয়।’ ফলস্বরূপ, কিছু দূতাবাস থেকে রিলিজ লেটার পাওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, গড়ে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য অনেক দেশের মতোই করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হচ্ছে মালয়েশিয়া। মহামারির সবচেয়ে ভয়াবহ ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। দেশটিতে দৈনিক ১৭ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড শনাক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে ১১ লাখ ১৩ হাজার ২৭২ জন মানুষের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কেবল ৩১ জুলাই শনিবারেই সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ১৬৫ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৯ হাজার ২৪ জন মারা গেছেন।
সে দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার হার অনেক কম হওয়ায় প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ছে। রোগীরা সিট না পেয়ে চেয়ারে বসে আছে। তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার শেয়ার করে ব্যবহার করছে।

হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি যাদের ভর্তি করা হচ্ছে, তারা যে শয্যা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।
এ পরিস্থিতিতে গত ২৬ জুলাই দেশটির কয়েক হাজার জুনিয়র চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ওয়াকআউট করেন। চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান তারা।

একদিকে হাসপাতালের মর্গে বাড়ছে লাশের দীর্ঘ সারি। একজন উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছেন, কারণ কেউ তাদের দাবি করতে আসেনি বা তারা অন্যদের মধ্যে আইনি মামলায় আবদ্ধ।
‘বিদেশী নাগরিকদের মৃতদেহগুলির ক্ষেত্রেও আমরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি, কারণ সেখানে দূতাবাস রয়েছে যা পুরনো পদ্ধতির সঙ্গে লেগে থাকে যখন দেহাবশেষ দাবি করা হয়।’ ফলস্বরূপ, কিছু দূতাবাস থেকে রিলিজ লেটার পাওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, গড়ে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।