এশিয়া কাপের ফাইনাল জিতেছে ভারত। তবে হৃদয় জিতেছে বাংলাদেশ। ১৫ ওভারের খেলায় ১২০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়াটা চাট্টিখানি কথা নয়। অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন, বাংলাদেশই হয়তো চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ভারতের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপ সেই কঠিন লক্ষ্যকেও পার হয়ে যায়। তবে ৫ জাতির এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যে খেলা দেখিয়েছে, তাতে শিরোপা না জিতলেও, দারুণ উন্নতির লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে। বিশ্বের নামি-দামি তারকারা প্রশংসায় ভাসিয়েছে মাশরাফিদের।
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় দিয়ে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে মাশরাফিরা। তৃতীয় ম্যাচে এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে হারিয়ে হারিয়ে ফাইনালের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। এরপর তো হলো পাকিস্তানবধ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মত শক্তিশালি দলকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই ভারতই; কিন্তু ধোনিদের সামনে বাংলাদেশকে কেউ আর ছোট প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবতে পারেনি। যারা শ্রীলংকা, পাকিস্তানের মত দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে, তাদেরকে তো সমীহ করতেই হবে। ভারতের কিংবদন্তী টেস্ট ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ এশিয়া কাপে ছিলেন স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার। বাংলাদেশে এসে মাশরাফিদের খেলা দেখে উচ্চসিত প্রশংসা করলেন তিনি।
বললেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত হয়ে গেছি বাংলাদেশের খেলা দেখে। এই দলটির ভবিষ্যৎ যেন আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। খুব দ্রুতই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে একটি সুপার পাওয়ারে পরিণত হতে যাচ্ছে। ক্রিকেটের জন্যই এটা খুবই চমৎকার একটি ঘটনা।’
বাংলাদেশের টিম স্পিরিট দেখেও মুগ্ধ হয়ে গেলেন লক্ষ্মণ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দলের মধ্যে টিম স্পিরিট কিংবা একতা যাই বলি খুবই চমৎকার। দলের প্রতিটি সদস্যই একসঙ্গে কাজ করে দারুন একটি ফলাফল করার জন্য। এই দলটি অনেক দুর এগিয়ে যাবে। কারণ, দলটিতে রয়েছে দুর্দান্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। টাইগারদের জন্য সব শুভকামনা রইল।’