হাওর বার্তা ডেস্ক করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিনটি ঈদে চিরচেনা পরিবেশ দেখা যায়নি। করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কারণে আনন্দ উদযাপনে ভাটা পড়েছে। করোনার সংক্রমণ নিয়ে সবার মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। এছাড়া, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় অনেকে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে, সাধারণ মানুষের মাঝে ঈদ উদযাপনের উদ্দীপনা নেই। ঈদকেন্দ্রিক রাজনীতিও নেই পুরনো চেহারায়। এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোই রাজনীতি। করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
পরবর্তী কঠোর লকডাউনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকায় থাকছেন অনেক নেতা। ঢাকায় থাকলেও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উপহার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন তারা। অনেকে ঈদের আগে এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সহায়তা সামগ্রী দিয়েছেন।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এ লড়াইয়ে আমরা অনেক আপনজনকে হারিয়েছি। আজকে তাদের স্মরণ করছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে এবং আমরা জিতব, ইনশাল্লাহ।’
তিনি বলেছেন, ‘আসুন, কোরবানির ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।’
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই ওপেন হার্ট সার্জারি করানো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আছেন কিছুটা সতর্ক। তিনি ঈদ করবেন ঢাকায়। তার পক্ষে এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহও ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানও ঈদ করবেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রোববারই জামালপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদ করবেন দিনাজপুরে। তিনি জানান, গত ১৬ তারিখ থেকে তিনি এলাকায় অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালে অক্সিজেন লাইন উদ্বোধন, দরিদ্রদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণসহ জেলার বেশকিছু সরকারি কর্মকাণ্ডে তিনি অংশ নিচ্ছেন। এলাকায় বসে অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন। ঈদের পরদিন তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঈদ করবেন ঢাকায়। অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন রোববার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী গেছেন। সেখানেই ঈদ উদযাপন করবেন। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনও ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকায়।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ঢাকায় নিজ বাড়িতে ঈদ করবেন। শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে নিজ বাড়িতে ঈদ করবেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় এবং উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ বনানীর বাসায় ঈদ উদযাপন করবেন।