মূলত খাবার সংরক্ষণের জন্যই ব্যবহার করা হয় ফ্রিজ। কিন্তু যে খাবারগুলো আমরা ফ্রিজে রাখি তার অনেকগুলোই রাখা ঠিক নয়। কারণ এতে খাবারের গুণগতমানের সঙ্গে নষ্ট হয় বৈশিষ্ট্য, স্বাদ এমনকি ‘রূপও’। শুধু তাই নয়, ফ্রিজে রাখার উপযোগী না হওয়ায় ওই খাবারের গন্ধ প্রভাবিত করে সঙ্গে রাখা খাবারগুলোকেও।
পেঁয়াজ
ফ্রিজের ময়েশ্চার পেঁয়াজকে নরম করে ফেলে ও কুঁচকে দেয়। পিঁয়াজকে রাখতে হবে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এ সবজিকে আলুর সঙ্গেও রাখা যাবে না।
কফি
এর গন্ধ ফ্রিজের অন্য খাবারকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ, অন্য খাবারে এর গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য ঢাকনাওয়ালা পাত্রে কফি সংরক্ষণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অলিভ অয়েল
ফ্রিজে রাখলে এটি দ্রুত ঘনীভূত হয় ও শক্ত হয়ে যায়। আর দীর্ঘ সময় রাখলে এটি বাটারের মতো হয়ে যায়।
মধু
ঘরের তাপমাত্রায় মুখ বন্ধ কোনো পাত্রে রাখলে মধু সবচেয়ে ভালো থাকে।
রসুন
ফ্রিজে রাখলে এটি রাবারের মতো হয়ে যায়, এমনকি কুঁচকেও যায়। তাই রসুন ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখা উত্তম।
পাউরুটি
ফ্রিজে পাউরুটি রাখলে দ্রুত তা শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য পাউরুটি ফ্রিজে না রেখে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে রাখুন।
আলু
আলু ফ্রিজে রাখলে তা মিষ্টি ও বালু বালু স্বাদযুক্ত হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ফ্রিজের ঠাণ্ডা আবহাওয়া আলুর স্টার্চকে দ্রুত জমিয়ে ফেলে। সেজন্য কাগজের কোনো ব্যাগে আলুকে ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে তা ধীরে ধীরে ফ্লেভার হারাতে থাকে, কারণ ভেতরের ঠাণ্ডা বাতাস টমোটোর পরিপক্বতায় প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি এর গঠনেও পরিবর্তন দেখা দেয়।