ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সামিয়া রহমান বলেছেন, আমি ফেমিনিস্ট নই, এসব শব্দের ঘোর বিরোধী। নারীকে যোগ্যতাবলে উঠে আসতে হবে। যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকতে হবে।
শনিবার (৫ মার্চ) ইডব্লিউএমজিএল’র কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
সামিয়া রহমান বলেন, আমি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে অন্যদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, আমি নাকি চেহারা দেখিয়ে টিভিতে এসেছি। অনেক পুরুষ সহকর্মী আমার যোগ্যতা, বেতন ইত্যাদি নিয়ে নানা কথা বলেছেন। কিন্তু আমি কিন্তু টিকে রয়েছি। নারীদেরকে টিকে থাকতে হবে নিজের যোগ্যতা দিয়ে।
অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখন অনেক আধুনিক বাবা-মা কন্যা সন্তানকে শিক্ষিত করছেন। কিন্তু তাদেরকে এই কঠিন পৃথিবীর বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করার মতো করে তৈরি করছেন কি? এখনো মেয়েদের চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে বাধা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে মেয়েদের ভর্তি হবার হার বাড়ছে না। তাদেরকে প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়, বাবা-মা সাংবাদিকতায় আসতে দিতে চান না। কিন্তু মেয়েদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ তো করে দিতে হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোর’র প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান, কালের কণ্ঠের সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. মোহাম্মদ আলী শিকদার, অভিনেত্রী নার্গিস আক্তার, গাইনোকোলজিস্ট ডা. নওশিন শারমিন পূরবী, জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার সাথিরা জেসি প্রমুখ ।