বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা এক সময় ১/১১ এর পক্ষে কথা বলেছেন এখন তারাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ১/১১’র সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ১/১১ সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। আজকে যখন তারা আক্রান্ত হচ্ছেন তখন ওয়ান ইলেভেনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছেনা।
তিনি বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদে ১/১১ কুশিলবদের বিচারের দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সে মামলাটি চাপিয়ে রাখা হয়েছে।
ওয়ান ইলেভেনের উদ্দেশ্য ছিলো- একটি মাত্র দল, মতবাদ ও আদর্শকে স্তব্ধ করা বা ধ্বংস করা। রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে তাকে বাদ দেয়া। সে কারণেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আক্রমণ ও আগ্রাসন করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তর অঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে স্তব্ধ করার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন তাদের গ্রেফতার করে দেশের রাজনীতিকে বন্ধ করে দেয়া। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ।
তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক। তাকে নিয়ে সরকারের যত ভয়। তারেক রহমানকে যদি স্তব্দ করে দেয়া যায় তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়। তারেক রহমানের বক্তব্য বাংরাদেশে প্রচার-প্রকাশ করতে দেয়া হয় না। কেন সরকারের এত ভয়। বিরোধী মতের লোকদের কথা বলতে দেয়া হয় না।
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের আগ থেকেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহামনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের নামে দুর্নীতির কল্পকাহিনী তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলাও প্রমাণ করতে পারে নি। বরং যে মামলাটির রায় হয়েছে সেটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল মাহমুদ টুকু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাযহারুল আনোয়ারসহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।