আশরাফুল মোসাদ্দেকঃ
বসেছিলে, এলো না বৃষ্টিমাখা চা।
এমন সাহসী পাগলুটে নও
কাগজ ছিঁড়ে ফেলার মতো করে
টুকরো করবে আপন জীবন।
অপরাহ্ন চিরদিন প্রতিবন্ধী,
কিছু ডর আর কিছু ভয় পায়ে
লবণ খেয়েও খুববেশি ভীতু
রাত্রি যেনো এক ভয়ঙ্কর মৃত্যু।
যখন বেদনার বেদানা ফল
পেকে ফেটে হবে তুমুল চৌচির
কুড়োবে কি কথা বলা বুলবুল
নাকি ঝুঁটিতোলা বালিকাবকুল।
এতো কাছাকাছি এতো পাশাপাশি
তথাপিও অন্ধকার ভাগ করে
জেগে থাকে দেয়ালের টিকটিকি,
শব্দহীন রাতের রুমালচুরি।
তুমি কি আড়ালের গোলকিপার
যখন নিয়তি খেলে ফুটবল
অসীম আকাশে বিজন আঁধারে
মিটমিট অস্তিত্বের অনস্তিত্বে?
বিশ্বকাপ বল নিয়ে লাথালাথি
সম্ভাবনা যার নয় আধাআধি;
আদৌ রোমান্টিক নয় ঘুম ভেঙ্গে
এক গ্লাস প্রভাতি চিরতাজল।
গোড়া কাটার পরও অভিমানে
কুঁচিলার ফল পেকে হয় লাল
বিস্ময়ে তাকায় ডুমুরের ডাল
বিচ্ছেদের লঙ্কার দুরন্ত ঝাল।
অপরাহ্নে দিবস কামড়ে ধরে
রাতের চিকণ পীচকালো লেজ
আড়মোড়া ভাঙ্গে এক চিতাবাঘ
ঘুম উপত্যকায় বালিকার চা।