হাওর বার্তা ডেস্কঃ পর্তুগালে অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগঠন সলিদারীদাদ ইমিগ্র্যান্টের উদ্যোগে এবং কাজা দো ব্রাজিল দে লিসবোয়া, অ্যাসোসিয়েশন অল্হো ভিবো, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্রুত নিয়মিত করার দাবিতে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী লিসবনের প্রাসা দো কমার্সিয়ো প্রাঙ্গণে বিকাল ৪টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতাধিক বিক্ষোভকারী একত্র হন। বিক্ষোভকারীরা আর অপেক্ষা নয়, সকলের জন্য রেসিডেন্ট কার্ড ইত্যাদি স্লোগান মুখরিত করে রাখেন। তারা পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বর্তমান প্রচলিত নিয়মের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেননা অনেকে এক থেকে দুই বছর যাবত অপেক্ষা করছেন অথচ কবে নাগাদ রেসিডেন্ট কার্ড পেতে পারেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে আয়োজকদের একজন মুখপাত্র জুলিয়েট ক্রিস্টিনা বলেন, বর্তমান মহামারির মাঝেও আমারা এই সমাবেশ করতে বাধ্য হচ্ছি, কারণ আমরা ক্লান্ত। আমরা শ্রমজীবী কোনো অপরাধী নই। আমরা সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করি। সুতরাং আমাদের বিষয়টি খেয়াল করতে হবে। অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষে ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে থাকা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, পর্তুগালে রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জমা করতে হয়। অতঃপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিচার-বিবেচনা করে ইমেইলে অনুমোদন প্রদান করেন যা প্রায় বর্তমান সময়ে এক বছরের মতো লেগে যাচ্ছে কিন্তু সবচেয়ে অসন্তোষের বিষয় হচ্ছে ফাইল অনুমোদন এর পরেও পাওয়া যাচ্ছে না ইমিগ্রেশন এর অ্যাপোয়েন্টমেন্ট তথাপি উক্ত অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে রয়েছে এক ধরনের অনৈতিক অভিযোগও।
কেননা বছরে মাত্র তিন থেকে চারবার স্বল্প সময়ের জন্য অ্যাপয়েনমেন্ট খোলা হয়ে থাকে তাই নির্দিষ্ট সময় না জানার কারণে অনেকের পক্ষেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া সম্ভব হয় না।
বিক্ষোভকারীরা এ ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ক্রমান্বয়ে অতি দ্রুত সময়ে প্রয়োজনে অনলাইনের মাধ্যমে সকলের রেসিডেন্ট কার্ড প্রদানের আহ্বান জানান। দ্রুত সময়ে ফাইলের অনুমোদন এবং ইমেইল অনুমোদনের সময় থাকে নিয়মিত নাগরিক হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানান।
অবশ্যই ইতিমধ্যে পর্তুগিজ সরকারের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী এদোয়ার্দো কাব্রিতা ইতিপূর্বে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ধরনের দুর্নীতির বিষয় থাকলে তার তদন্তের নির্দেশ দেন এবং স্বয়ংক্রিয় অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। অপরদিকে বিভিন্ন অনিয়ম জটিলতার কারণে পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে পর্তুগিজ সংসদে অনুমোদন হয়েছে যা কার্যকর হলে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার অবসান ঘটবে।