ড. গোলসান আরা বেগমঃ
আত্ম বিক্রিত ঘাতক খুনী ছিলাম না কখনও
চাইলেই পারি নাই কারো মাথায় ভাঙ্গতে কাঁঠাল
ফুলের আত্মহনন দেখলে দু’চোখ রেখেছি বন্ধ
অকর্মার ঢেঁকি বুদ্ধিতে ছিলো না মরিচের ঝাল।
এখন পাখী উড়তে দেখলে মুক্ত মনে বিহঙ্গের ডানা বাড়াই
বুদ্ধির পতন দেখলে চোখ তুলে কপালে গালে রাখি হাত
মানবতা,মুক্তচিন্তা, ছটফট করে বিবেকের ঘরে
কচুপাতার তলে খুঁজি কে কত বড় পেশী শক্তির জাত।
উর্ধ্ব শ্বাসে দৌড়াই ফাও খাই গরীবের ধন লুটে
আছে তো বড় ভাই হাতে তার ক্ষমতার ঢাক ঢোল
দিন দুপুরে রক্ত ঝরালে ফুলের হত্যা হলে ক্ষতি কি
একটা টেলিফোন যথেষ্ট,সে ভাই সামলাবে যত কূল।
দুধের মাছি ঘিরে রাখে।মুখে বন্ধনার ফেনা তুলে
গর্তে পড়লে পা,থাকবে না কেউ পাশে জানি
ক্ষমতার নেশায়,গড়তে গিয়ে টাকার পাহাড়
হাত করে লাল হয়ে গেছি আত্ম বিক্রিত খুণী।
আমার ভয়ে ঘর বাড়ী কাঁপে, মানবতা পালায়
তেলে জলে মিশে গোলা পানিতে ভাসে
বাঘে শিয়ালে এক ঘাটে জল খায় নীরবে
মাথা তুলবে তো মরবে।ঘুমাও আত্ম মর্যাদা বেছে।
বিবেক বুদ্ধি মানবতা জল্লাদের ঘরে বন্দি রেখে
নামতে নামতে নেমেছি কতো আবর্জনার নীচে
কেন হয়েছি নিষ্টুর দানব, কে দিয়েছে দীক্ষা
গড ফাদারের শিক্ষা। করেছে জীবন মিছে দুই আঙ্গুলের প্যাঁচে।