ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলকে ঘিরে কিছু উজ্জল ও অমলিন স্মৃতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৩৭৮ বার
ড. গোলসান আরা বেগমঃ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম এলাকার মানুষ বেঁচে থাকে। জলে ডুবু পানি থৈ থৈ করে সাগরের উজ্জল ও উত্থাল জলরাশির মত। অবেহেলিত এই এলাকাকে উন্নয়ন কারুকার্যতায় নান্দনিক পরিবেশে পর্যটন শিল্পে রুপান্তরিত করেন হাওরের মাটি ও গণ মানুষের নেতা মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও তাঁর  সুযোগ্য সন্তান প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ এমপি । কস্ক্রবাজারের সমুদ্র সৈকতের  রুপ, গন্ধ,সৌন্দর্য লুটে নিতে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে বহু পর্যটক। আমিও স্মুতির ঝাঁপি ভারী করেছি সে অঞ্চলের রুপালী পানি থৈ থৈ দৃশ্যাবলী হৃদয় দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে। 
 বিশতম রাষ্টপতি হিসেবে মো. আব্দুল হামিদ দায়িত্ব গ্রহন করলে নির্বাচনী পদটি শুন্য ঘোষিত হয়। উক্ত পদে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই তাঁর জৈষ্ট্য ছেলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মহান জাতীয় সংসদে পদার্পন করেন। সেই থেকে বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে অদ্যাবধি সেবা করে যাচ্ছেন বাবার মত।আমি সেই উপনির্বাচন কালিন সময়ে কিশোরগঞ্জের সদর থানার সিনয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তৌফিক সাহেবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় গিযেছিলাম। তখন এলাকা ছিলো দূর্গম, পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তা ঘাট, জলবাশি বেস্টিত,মাটির টিবির উপর দাঁড়ানো বাড়ী ঘরে যাওয়া ছিলো কষ্টকর।সে কারনেই আমাদের একজন সঙ্গী দপ করে কাদায় চিৎ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। সে দৃশ্য মনে হলে আজো শিহরিত হই। ট্রলারে করে নানা জায়গায় জনসভা করে গভীর রাতে মাছ কেরী করে এমন ইন্জিন চালিত ট্রলারে ফিরে আসি কিশোরগঞ্জ।পথি মধ্যে নিকষ কালো অন্ধকারে ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম।আহা সেই ভয়ের কথা মনে হলে গা শিউরে ওঠে।Image result for রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছবি
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে পাল্লা দিয়ে হাওয়ের মানুষের জীবন যাত্রায় যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার জগতের উন্নয়নের টেউ। এই উন্নয়নের সফল চৌকষ কারিগর হলেন জন নেতা প্রকৌশনী রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি। তিনি বঙ্গভবনের বিলাসি জীবন পরিহার করে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সুখ দুখে সর্বদা পাশে থাকেন।ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা।২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ৩ উপজেলা ইটনা- মিঠামইন-অস্টগ্রামকে সংযুক্ত করে নির্মান করেছেন ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের ওয়েদার সড়ক,যা হাওরের জীবন যাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে দিয়েছে। শিক্ষায় দীক্ষায় এলাকার জনগণ এগিয়েছে বহু দুর।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে এই সড়কটিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর হয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।মহামারী করোনার দুর্দিন কালে কেউ যেন কষ্টে না থাকে,সরকারের বিভিন্ন প্রকারের অনুদান,সাহায্য সুবিধা প্রদানে যেন কোন অনিয়ম না হয়,সে জন্য গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ঘুরে নিজে তদারকি করে যাচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন কর্মসুচি।বৃক্ষ রোপণ,ধানকাটা কর্মসুচি বাস্তবায়ন, কৃষককে বিনা মূল্যে উন্নত বীজ সরবরাহ করা, বানভাসি মানুষর জীবন ও জীবিকার সুব্যবস্থা করা, উন্নত চিকিৎসা সেবা, ত্রাণবিতরন ইত্যাদি সকল কাজই নিজে উপস্থিত থেকে বাস্তবায়ন  করে যাচ্ছেন।দেশ সেবাকে তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহন করেছেন।Related image
স্বল্প ভাষি, মিস্টি হাসির,দুরদর্শি চিন্তা চেতানার সৈনিক এই নেতার সাথে আমার বহুবার দেখা হয়েছে, রাজনৈতিক আদর্শের বিনিময় করেছি। তাঁর সাবলীল ভাষণ ও কথানে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ২০১৯ সালে নির্বাচিত  হওয়ার পর  কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দিয়েছিলাম। তা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবে একই মষ্ণে বসে আলাপ চারিতায় ভাব বিনিময় কর পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছি।সে দিন দশর্কদের অনুরোধে নিজ কন্ঠে একটি চমৎকার গান উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর রাজনীতির ধারা সাবলীল ও বাবার মত হাস্য রসাত্বক,যা জনগণকে মোহিত করে টেনে নেয় ভালোবাসার অন্তর কৌঠায়। এ কারণেই তাঁর এলাকায় উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত নেতা কর্মিরা  ঐক্যবদ্ধ।তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী আদর্শে নিবেদিত কর্মিরা   জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে রাখছে বেগমান।
 কিশোরগঞ্জ সংসদীয় ৪ আসনের এই এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিককে ঘিরে, জলে ডুবু হাওরের জনগনের নিত্যদিনের সুখ দুখ, কাঁচা রোদে ভিজে সূর্য উদয়ের স্বপ্ন দেখায় ও বাস্তবতা দেয়। আগামী দিনে রাষ্ট্রপতির যোগ্য তনয় আওয়ামী আদর্শের গর্বিত উত্তোসুরি হবে এই প্রত্যাশাটি পদ্দ পাতায় ছন্দে গানে লিখে হাওরের জল তরঙ্গে ভাসিয়ে দিয়ে প্রতীক্ষায় রইলাম।পরিশ্রম,চেষ্টা, সাধনা বিফলে যায় না। এই নেতার আদর্শ একদিন ফুল হয়ে ফুটবে,জনকল্যনে ছড়ারে সুগন্ধি ঘ্রাণ। এই ছিলো বা আছে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলকে ঘিরে আমার কিছু উজ্জল ও অমলিন স্মৃতি।
লেখকঃ কবি,উপদেষ্টা সদস্য – বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সিনেট সদস্য – জাবি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলকে ঘিরে কিছু উজ্জল ও অমলিন স্মৃতি

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
ড. গোলসান আরা বেগমঃ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম এলাকার মানুষ বেঁচে থাকে। জলে ডুবু পানি থৈ থৈ করে সাগরের উজ্জল ও উত্থাল জলরাশির মত। অবেহেলিত এই এলাকাকে উন্নয়ন কারুকার্যতায় নান্দনিক পরিবেশে পর্যটন শিল্পে রুপান্তরিত করেন হাওরের মাটি ও গণ মানুষের নেতা মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও তাঁর  সুযোগ্য সন্তান প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ এমপি । কস্ক্রবাজারের সমুদ্র সৈকতের  রুপ, গন্ধ,সৌন্দর্য লুটে নিতে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে বহু পর্যটক। আমিও স্মুতির ঝাঁপি ভারী করেছি সে অঞ্চলের রুপালী পানি থৈ থৈ দৃশ্যাবলী হৃদয় দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে। 
 বিশতম রাষ্টপতি হিসেবে মো. আব্দুল হামিদ দায়িত্ব গ্রহন করলে নির্বাচনী পদটি শুন্য ঘোষিত হয়। উক্ত পদে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই তাঁর জৈষ্ট্য ছেলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মহান জাতীয় সংসদে পদার্পন করেন। সেই থেকে বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে অদ্যাবধি সেবা করে যাচ্ছেন বাবার মত।আমি সেই উপনির্বাচন কালিন সময়ে কিশোরগঞ্জের সদর থানার সিনয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তৌফিক সাহেবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় গিযেছিলাম। তখন এলাকা ছিলো দূর্গম, পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তা ঘাট, জলবাশি বেস্টিত,মাটির টিবির উপর দাঁড়ানো বাড়ী ঘরে যাওয়া ছিলো কষ্টকর।সে কারনেই আমাদের একজন সঙ্গী দপ করে কাদায় চিৎ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। সে দৃশ্য মনে হলে আজো শিহরিত হই। ট্রলারে করে নানা জায়গায় জনসভা করে গভীর রাতে মাছ কেরী করে এমন ইন্জিন চালিত ট্রলারে ফিরে আসি কিশোরগঞ্জ।পথি মধ্যে নিকষ কালো অন্ধকারে ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম।আহা সেই ভয়ের কথা মনে হলে গা শিউরে ওঠে।Image result for রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছবি
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে পাল্লা দিয়ে হাওয়ের মানুষের জীবন যাত্রায় যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার জগতের উন্নয়নের টেউ। এই উন্নয়নের সফল চৌকষ কারিগর হলেন জন নেতা প্রকৌশনী রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি। তিনি বঙ্গভবনের বিলাসি জীবন পরিহার করে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সুখ দুখে সর্বদা পাশে থাকেন।ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা।২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ৩ উপজেলা ইটনা- মিঠামইন-অস্টগ্রামকে সংযুক্ত করে নির্মান করেছেন ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের ওয়েদার সড়ক,যা হাওরের জীবন যাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে দিয়েছে। শিক্ষায় দীক্ষায় এলাকার জনগণ এগিয়েছে বহু দুর।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে এই সড়কটিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর হয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।মহামারী করোনার দুর্দিন কালে কেউ যেন কষ্টে না থাকে,সরকারের বিভিন্ন প্রকারের অনুদান,সাহায্য সুবিধা প্রদানে যেন কোন অনিয়ম না হয়,সে জন্য গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ঘুরে নিজে তদারকি করে যাচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন কর্মসুচি।বৃক্ষ রোপণ,ধানকাটা কর্মসুচি বাস্তবায়ন, কৃষককে বিনা মূল্যে উন্নত বীজ সরবরাহ করা, বানভাসি মানুষর জীবন ও জীবিকার সুব্যবস্থা করা, উন্নত চিকিৎসা সেবা, ত্রাণবিতরন ইত্যাদি সকল কাজই নিজে উপস্থিত থেকে বাস্তবায়ন  করে যাচ্ছেন।দেশ সেবাকে তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহন করেছেন।Related image
স্বল্প ভাষি, মিস্টি হাসির,দুরদর্শি চিন্তা চেতানার সৈনিক এই নেতার সাথে আমার বহুবার দেখা হয়েছে, রাজনৈতিক আদর্শের বিনিময় করেছি। তাঁর সাবলীল ভাষণ ও কথানে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ২০১৯ সালে নির্বাচিত  হওয়ার পর  কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দিয়েছিলাম। তা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবে একই মষ্ণে বসে আলাপ চারিতায় ভাব বিনিময় কর পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছি।সে দিন দশর্কদের অনুরোধে নিজ কন্ঠে একটি চমৎকার গান উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর রাজনীতির ধারা সাবলীল ও বাবার মত হাস্য রসাত্বক,যা জনগণকে মোহিত করে টেনে নেয় ভালোবাসার অন্তর কৌঠায়। এ কারণেই তাঁর এলাকায় উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত নেতা কর্মিরা  ঐক্যবদ্ধ।তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী আদর্শে নিবেদিত কর্মিরা   জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে রাখছে বেগমান।
 কিশোরগঞ্জ সংসদীয় ৪ আসনের এই এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিককে ঘিরে, জলে ডুবু হাওরের জনগনের নিত্যদিনের সুখ দুখ, কাঁচা রোদে ভিজে সূর্য উদয়ের স্বপ্ন দেখায় ও বাস্তবতা দেয়। আগামী দিনে রাষ্ট্রপতির যোগ্য তনয় আওয়ামী আদর্শের গর্বিত উত্তোসুরি হবে এই প্রত্যাশাটি পদ্দ পাতায় ছন্দে গানে লিখে হাওরের জল তরঙ্গে ভাসিয়ে দিয়ে প্রতীক্ষায় রইলাম।পরিশ্রম,চেষ্টা, সাধনা বিফলে যায় না। এই নেতার আদর্শ একদিন ফুল হয়ে ফুটবে,জনকল্যনে ছড়ারে সুগন্ধি ঘ্রাণ। এই ছিলো বা আছে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলকে ঘিরে আমার কিছু উজ্জল ও অমলিন স্মৃতি।
লেখকঃ কবি,উপদেষ্টা সদস্য – বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সিনেট সদস্য – জাবি।