কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে দেওয়া জিয়াউর রহমানের ঘোষণা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন বিএনপি’র মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
ড. রিপন তার বাণীতে বলেন, শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। জীবদ্দশায় জাতির চরম ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তাঁর অনন্য কীর্তির কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
বাণীতে তিনি আরো বলেন, ৭১’ সালে সারা জাতি যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, যখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করে এবং সে প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্বাধীনতাত্তোর দমনমূলক শাসন শোষণের যাঁতাকলে মানুষের প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত, দেশের মানুষের একের পর এক মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়, দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠুর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে।
তিনি বলেন, মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয় স্বাধীনতাউত্তর পর্যায়ে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির উত্থানে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা পূণ:প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত হয়। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন।
গনমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি আরো বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশী-বিদেশী চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এই চক্রান্তকারীরাই ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তথাপিও তিনি মানুষের হৃদয় থেকে বিস্মৃত হননি। জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে আছেন তিনি আজও।
বাণীতে তিনি আরো বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, দলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের ক্ষমতায়নে প্রয়োজন আজ ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার সূচিত কর্মসূচি ও রাজনৈতিক দর্শন লালন করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদতবার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন বিএনপি’র মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
ড. রিপন তার বাণীতে বলেন, শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। জীবদ্দশায় জাতির চরম ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তাঁর অনন্য কীর্তির কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
বাণীতে তিনি আরো বলেন, ৭১’ সালে সারা জাতি যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, যখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করে এবং সে প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্বাধীনতাত্তোর দমনমূলক শাসন শোষণের যাঁতাকলে মানুষের প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত, দেশের মানুষের একের পর এক মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়, দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠুর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে।
তিনি বলেন, মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয় স্বাধীনতাউত্তর পর্যায়ে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির উত্থানে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা পূণ:প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত হয়। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে তিনি দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন।
গনমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি আরো বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশী-বিদেশী চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এই চক্রান্তকারীরাই ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তথাপিও তিনি মানুষের হৃদয় থেকে বিস্মৃত হননি। জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে আছেন তিনি আজও।
বাণীতে তিনি আরো বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, দলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের ক্ষমতায়নে প্রয়োজন আজ ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার সূচিত কর্মসূচি ও রাজনৈতিক দর্শন লালন করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদতবার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান জানাচ্ছি।