ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় কমানো হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ফি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ১৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশি শ্রমিকসহ আরও যেসব অভিবাসী মালয়েশিয়ার কৃষি খামার ও কলকারখানায় কাজ করেন, নিয়োগ পাওয়ার জন্য তাদের প্রদত্ত ফি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক মানব পাচার বিষয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) শিরোনামে করা সেই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়াকে ‘টায়ার থ্রি’ বা গুরুতর অবস্থানে রাখা হয়েছে।

টিআইপি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

আরও বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানছেন না কর্মক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষ, তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়া ছাড়াই বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করানো হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়ার সময় শ্রমিকদের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল তার শর্তসমূহও মানছেন না অনেক মালিক।

সোমবারের বিবৃতিতে সারভানান বলেন, ‘শ্রমিকদের, বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখছে। শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সরকারের ধারাবাহিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

‘অনেক সময় মালিকপক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন মানছেন না এবং চাকরি বিষয়ক চুক্তির শর্তসমূহ লঙ্ঘন করছেন- এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ফি এবং চাকরির চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে সরকার।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত মে মাসে অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা জানতে একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। চালু কারার পর মে মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে মোট ৪ হাজার ৬৩৬ টি অভিযোগ এসেছে সেই অ্যাপে।

এই অভিযোগসমূহের মধ্যে ইতোমধ্যে মোট ৩ হাজার ৫০২ টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাকিগুলোর বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মালয়েশিয়ার কৃষি খামার ও শিল্প কারখানাসমূহে বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ২০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক। এদের প্রায় সবাই বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে দেশটিতে গিয়েছেন।

অভিবাসী এই শ্রমিকরা বর্তমানে মালয়েশিয়ার শ্রমবজারের প্রধান চালিকাশক্তি। পাম তেল থেকে রাবার গ্লাভ প্রস্তুত- সব ক্ষেত্রেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় কমানো হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ফি

আপডেট টাইম : ১২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশি শ্রমিকসহ আরও যেসব অভিবাসী মালয়েশিয়ার কৃষি খামার ও কলকারখানায় কাজ করেন, নিয়োগ পাওয়ার জন্য তাদের প্রদত্ত ফি এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক মানব পাচার বিষয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) শিরোনামে করা সেই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়াকে ‘টায়ার থ্রি’ বা গুরুতর অবস্থানে রাখা হয়েছে।

টিআইপি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

আরও বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানছেন না কর্মক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষ, তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়া ছাড়াই বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করানো হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়ার সময় শ্রমিকদের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল তার শর্তসমূহও মানছেন না অনেক মালিক।

সোমবারের বিবৃতিতে সারভানান বলেন, ‘শ্রমিকদের, বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখছে। শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সরকারের ধারাবাহিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

‘অনেক সময় মালিকপক্ষ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়োগ ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন মানছেন না এবং চাকরি বিষয়ক চুক্তির শর্তসমূহ লঙ্ঘন করছেন- এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ফি এবং চাকরির চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে সরকার।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত মে মাসে অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা জানতে একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। চালু কারার পর মে মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে মোট ৪ হাজার ৬৩৬ টি অভিযোগ এসেছে সেই অ্যাপে।

এই অভিযোগসমূহের মধ্যে ইতোমধ্যে মোট ৩ হাজার ৫০২ টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাকিগুলোর বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মালয়েশিয়ার কৃষি খামার ও শিল্প কারখানাসমূহে বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ২০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক। এদের প্রায় সবাই বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে দেশটিতে গিয়েছেন।

অভিবাসী এই শ্রমিকরা বর্তমানে মালয়েশিয়ার শ্রমবজারের প্রধান চালিকাশক্তি। পাম তেল থেকে রাবার গ্লাভ প্রস্তুত- সব ক্ষেত্রেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন তারা।