হাওর বার্তা ডেস্কঃ পহেলা জুলাই ছিলো কানাডার জন্মদিন। দেশটির ১৫৪তম জন্মদিন খুব সীমিত এবং সংক্ষিপ্তভাবেই পালিত হলো। দিনটি ছিলো সরকারি ছুটির দিন। তবু করোনার কারণে আগেও মতো মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা, প্যারেড, হইচই, নাচ-গানের নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলোনা, ছিলোনা সন্ধ্যায় মুখরিত হয়ে উঠে আকাশজুড়ে আতশবাজির ফোয়ারা।
এক সময় বলা হতো, ব্রিটিশ রাজত্বের সূর্যাস্ত নেই, ব্রিটিশের পূর্ব-পশ্চিম একাকার। সেই সূত্রে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিকতা ছিল কানাডাতেও। নিরীহ কানাডিয়ানদের প্রথমে ফ্রান্স পরে ব্রিটেন শাসন করেছে দীর্ঘ সময়। কানাডার ইতিহাসে অনেক রক্তাক্ত যুদ্ধ আছে, যুদ্ধের স্মৃতি আছে। বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের মতো দেশটির বিজয়ের ক্ষণ হচ্ছে- ১৮৬৭ সালের পহেলা জুলাই। বৃটিশ কলোনি থেকে মুক্তি অর্জন করে আর ১৯৭১ সালে বহুজাতিক সংস্কৃতির প্রবর্তন করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়ারে ট্রডো দেশটিকে দেন নতুন মাত্রা।
দখিন মহাসাগর, আটলান্টিকা এবং প্যাসিফিক এই তিন মহাসমুদ্রে পরিবেষ্টিত কানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। অর্থাৎ ৯৯,৭৬,১৮৬ বর্গ কিলোমিটার। যার রাষ্ট্রীয় নাম- ডমিনিয়ন অব কানাডা। কানাডায় ১০টি প্রভিন্স বা প্রদেশ এবং ৩টি টেরিটোরিস রয়েছে। বর্তমান কানাডার সব ছোট প্রদেশ প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডকে বলা হয় গার্ডেন অফ কানাডা। এই মনোরম দ্বীপে বৃটিশরা বিদায় নেয়ার সময় বৈঠক করে কানাডাকে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা প্রদান করে ১৮৬৭ এই দিনে। কানাডা মুক্ত হলেও ব্রিটেনের সাথে ভিন্ন বন্ধন রয়েছে। অর্থাৎ এখনো প্রথাগত বিধি মোতাবেক এ রাষ্ট্রের প্রধান হচ্ছেন ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ। তাঁর অনুকূলে প্রতিনিধিত্ব করেন নির্বাচিত গর্ভনর জেনারেল।
‘হ্যাপি কানাডা ডে’ পালিত
কানাডার জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আজ এক শুভেচ্ছা বাণী দেন। তাতে তিনি বলেন- আমাদের দেশ শান্তির দেশ। এখানে অন্যায়, অবিচার, বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। আসুন, আমরা সবাই মিলে বিশ্বের এই সেরা দেশটিকে আরও সুন্দর করে নির্মাণ করি।
জাস্টিন পুরো করোনাকালে সেভড করা, চুল কাটা বন্ধ ছিলো। এই অবস্থায় এলোমেলো সুন্দর হয়ে বিগত এক বছর ক্যামারার সামনে হাজির হতেন। আজ হঠাৎ একেবারে ক্লিন সেভ, পরিচ্ছন্ন চুলে পরিপাটি হয়ে কানাডা ডে উপলক্ষে ক্যামারা সামনে এসে বক্তব্য দেন।