ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • ১৭৮ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তৈলাক্ত ও ভারী খাবারের কারণে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যা যে কেবল বড়দের হয় তা কিন্তু নয়। ছোটরাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মোটেও অবহেলার নয়।
এই সমস্যায় শুরুতে সচেতন না হলে পরবর্তীতে আলসারে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেই এটা থেকে মুক্তি পেতে ঝুঁকে পরেন ওষুধের দিকে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি মিললেও আসলে এটি ক্ষতিকর। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে এটি পেট ফাঁপা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।

হজম সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা সমাধানে হলুদ বেশ কার্যকর। এটি চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে।

শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের সমস্যা কমায়।

পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা কমতে থাকবে।

আদা এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা ও পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খান, দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা ভালো হবে।

দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এসব উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে সেই সঙ্গে খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই দই খেলে হজম ভালো হয়, গ্যাস কমে। এই জন্য খাবারের পর দই খাওয়াটা বেশ কার্যকর।

অ্যাসিডিটির সমস্যা হ্রাস করতে রসুনের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাকে অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

পানি পানের সুফলের কথা সবাই জানেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস করে পানি পান করবেন, দেখবেন সারাদিন আর গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না। কারণ পানি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে।

যারা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমে সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। এমনকি দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।

আনারসে রয়েছে ৮৫ শতাংশ পানি এবং ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম যা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পাচক রস। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। এছাড়া আনারস ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী।

ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাশাপাশি অ্যাসিডিটি কমায়। এছাড়াও বুক জ্বালা পোড়া ও পেটে ব্যথা কমাতে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অবশ্যই সেই সঙ্গে খাবারে অনিয়ম ও তৈলাক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তৈলাক্ত ও ভারী খাবারের কারণে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যা যে কেবল বড়দের হয় তা কিন্তু নয়। ছোটরাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মোটেও অবহেলার নয়।
এই সমস্যায় শুরুতে সচেতন না হলে পরবর্তীতে আলসারে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেই এটা থেকে মুক্তি পেতে ঝুঁকে পরেন ওষুধের দিকে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি মিললেও আসলে এটি ক্ষতিকর। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে এটি পেট ফাঁপা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।

হজম সংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা সমাধানে হলুদ বেশ কার্যকর। এটি চর্বিজাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে।

শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের সমস্যা কমায়।

পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। তাই নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের সমস্যা কমতে থাকবে।

আদা এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা ও পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খান, দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা ভালো হবে।

দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এসব উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে সেই সঙ্গে খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই দই খেলে হজম ভালো হয়, গ্যাস কমে। এই জন্য খাবারের পর দই খাওয়াটা বেশ কার্যকর।

অ্যাসিডিটির সমস্যা হ্রাস করতে রসুনের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাকে অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

পানি পানের সুফলের কথা সবাই জানেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস করে পানি পান করবেন, দেখবেন সারাদিন আর গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না। কারণ পানি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে।

যারা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমে সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। এমনকি দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।

আনারসে রয়েছে ৮৫ শতাংশ পানি এবং ব্রোমেলিন নামক হজমে সাহায্যকারী প্রাকৃতিক এনজাইম যা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পাচক রস। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। এছাড়া আনারস ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী।

ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাশাপাশি অ্যাসিডিটি কমায়। এছাড়াও বুক জ্বালা পোড়া ও পেটে ব্যথা কমাতে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অবশ্যই সেই সঙ্গে খাবারে অনিয়ম ও তৈলাক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।