ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের পর হাসপাতাল কেবিনেই বাসর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
  • ১০০ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গায় বেসরকারি একটি হাসপাতালের কেবিনে প্রেমিক যুগলের বিয়ে ও বাসর সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় উৎসুক জনতা এক নজর নব দম্পতিকে দেখার জন্য ওই হাসপাতালে ভিড় জমায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) মধ্যরাতে বিয়ের পর সেখানে রাত্রিযাপন করেন তারা। নব-বিবাহিতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়ার হুসাইন আহমেদ ও ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রামের তাসফিয়া সুলতানা মেঘা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইন আহমেদের ডান পা ভেঙে যায়। ভাঙা পা নিয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে ওই উপজেলার বেসরকারি ফাতেমা ক্লিনিকের চিকিৎসাধীন। সেখানে তার দেখাশোনার জন্য মা-বাবা ও বোন রয়েছেন।

এদিকে প্রেমিকের পা ভাঙার খবর পেয়ে ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালে ছুটে যান প্রেমিকা তাসফিয়া সুলতানা মেঘা। সবকিছু জানার পর হুসাইন আহমেদের স্বজনরা মেঘার বাবার সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনা শুনে মেঘার বাবা মেয়েকে বাড়িতে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সম্ভব হলে বিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন।

বিয়েতে রাজি হন মেঘা ও হুসাইন। এরপর পরে গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর সেখানেই তাদের বাসর হয়।

হুসাইন আহমেদের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই সম্পর্ক আছে। এছাড়া তাদের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমার ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটি হাসপাতালে চলে এসেছে। এরপর আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু মেয়ের বাবা এভাবে বিয়ে দিতে রাজি না। অন্যদিকে মেয়েটিও বিয়ে না করে এখান থেকে যাবে না বলে জেদ ধরে। এরপর মধ্যরাতে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেই।

ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মুনজুর আলী বলেন, ছেলের বাবা আব্দুস সোবহান আমার বাল্যবন্ধু। তার ইচ্ছেতেই আমার ক্লিনিকে বিয়েটা হয়েছে। বিষয়টি আমারো ভালো লেগেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের পর হাসপাতাল কেবিনেই বাসর

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গায় বেসরকারি একটি হাসপাতালের কেবিনে প্রেমিক যুগলের বিয়ে ও বাসর সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় উৎসুক জনতা এক নজর নব দম্পতিকে দেখার জন্য ওই হাসপাতালে ভিড় জমায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) মধ্যরাতে বিয়ের পর সেখানে রাত্রিযাপন করেন তারা। নব-বিবাহিতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়ার হুসাইন আহমেদ ও ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রামের তাসফিয়া সুলতানা মেঘা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইন আহমেদের ডান পা ভেঙে যায়। ভাঙা পা নিয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে ওই উপজেলার বেসরকারি ফাতেমা ক্লিনিকের চিকিৎসাধীন। সেখানে তার দেখাশোনার জন্য মা-বাবা ও বোন রয়েছেন।

এদিকে প্রেমিকের পা ভাঙার খবর পেয়ে ঝিনাইদহের লেবুতলা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালে ছুটে যান প্রেমিকা তাসফিয়া সুলতানা মেঘা। সবকিছু জানার পর হুসাইন আহমেদের স্বজনরা মেঘার বাবার সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনা শুনে মেঘার বাবা মেয়েকে বাড়িতে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সম্ভব হলে বিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন।

বিয়েতে রাজি হন মেঘা ও হুসাইন। এরপর পরে গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর সেখানেই তাদের বাসর হয়।

হুসাইন আহমেদের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে আমাদের আগে থেকেই সম্পর্ক আছে। এছাড়া তাদের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমার ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটি হাসপাতালে চলে এসেছে। এরপর আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু মেয়ের বাবা এভাবে বিয়ে দিতে রাজি না। অন্যদিকে মেয়েটিও বিয়ে না করে এখান থেকে যাবে না বলে জেদ ধরে। এরপর মধ্যরাতে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেই।

ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মুনজুর আলী বলেন, ছেলের বাবা আব্দুস সোবহান আমার বাল্যবন্ধু। তার ইচ্ছেতেই আমার ক্লিনিকে বিয়েটা হয়েছে। বিষয়টি আমারো ভালো লেগেছে।