ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের সময় বেঁধে দিল পুলিশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৭৭ বার

রাজধানী ঢাকার সব বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের সময় বেঁধে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। সেই সঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনো বাড়িওয়ালা যদি ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় জমা না দেন এবং এ সময়ের মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে বাড়িওয়ালাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

সোমবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর বাড়িওয়ালা- ভাড়াটিয়ার তথ্য আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়ার তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে ৪২ ধারা অনুযায়ী ওইসব বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিট পুলিশকে সহযোগিতা না করলেও বাড়ির মালিকের

বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশ ও সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণ আইন অনুযায়ী পুলিশকে সহযোগিতা করতে বাধ্য বলেও জানান তিনি।

কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয় এ ধরনের তথ্য দিলে মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারে। অনেকে ভয়ে তথ্য দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা তথ্য না দিলে কি হবে? জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, এক্ষেত্রে ওই সন্ত্রাসীকে আশ্রয়, পৃষ্টপোষকতা এবং সহযোগিতার জন্য বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, তবে বাড়ির মালিক যদি এক্ষেত্রে আগেভাগেই পুলিশকে ভাড়াটিয়ার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে বাড়ির মালিক অযথা হয়রানির শিকার হবেন না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ মানুষের মধ্যে পুলিশভীতি আছে। সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের মধ্যে দুরত্ব কমাতেই বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। রাজধানীর ৪৯টি থানার প্রতিটিতে ৩ থেকে ৯টি করে মোট ২৮৭ টি বিট চালু করা হয়েছে।

বিট পুলিশিং চালু হলে সমাজে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের সম্পর্কে আমরা সহজেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো। প্রতিটি বাড়ির ড্রাইভার, গৃহকর্মী, কেয়ারটেকারদের সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য থাকবে। বিট পুলিশিং যদি আগে থেকেই চালু থাকতো, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিরা আস্তানা গড়তে পারতো না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের সময় বেঁধে দিল পুলিশ

আপডেট টাইম : ০৮:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

রাজধানী ঢাকার সব বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়াদের সময় বেঁধে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। সেই সঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনো বাড়িওয়ালা যদি ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় জমা না দেন এবং এ সময়ের মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে বাড়িওয়ালাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

সোমবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর বাড়িওয়ালা- ভাড়াটিয়ার তথ্য আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়ার তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে ৪২ ধারা অনুযায়ী ওইসব বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিট পুলিশকে সহযোগিতা না করলেও বাড়ির মালিকের

বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশ ও সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণ আইন অনুযায়ী পুলিশকে সহযোগিতা করতে বাধ্য বলেও জানান তিনি।

কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয় এ ধরনের তথ্য দিলে মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারে। অনেকে ভয়ে তথ্য দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা তথ্য না দিলে কি হবে? জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, এক্ষেত্রে ওই সন্ত্রাসীকে আশ্রয়, পৃষ্টপোষকতা এবং সহযোগিতার জন্য বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, তবে বাড়ির মালিক যদি এক্ষেত্রে আগেভাগেই পুলিশকে ভাড়াটিয়ার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে বাড়ির মালিক অযথা হয়রানির শিকার হবেন না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ মানুষের মধ্যে পুলিশভীতি আছে। সাধারণ মানুষ এবং পুলিশের মধ্যে দুরত্ব কমাতেই বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। রাজধানীর ৪৯টি থানার প্রতিটিতে ৩ থেকে ৯টি করে মোট ২৮৭ টি বিট চালু করা হয়েছে।

বিট পুলিশিং চালু হলে সমাজে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের সম্পর্কে আমরা সহজেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো। প্রতিটি বাড়ির ড্রাইভার, গৃহকর্মী, কেয়ারটেকারদের সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য থাকবে। বিট পুলিশিং যদি আগে থেকেই চালু থাকতো, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিরা আস্তানা গড়তে পারতো না।