ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৫১২ বার

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইজেড) মধ্যে ১০টির উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আজ। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বেসরকারি এবং চারটি সরকারি। বেসরকারি ছয়টিই ঢাকার চারপাশে নির্মাণ হচ্ছে। আর সরকারি চারটি রয়েছে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও কক্সবাজারে। এই ১০টিতে মোট জমির পরিমাণ ৩০৬৫ একর, যা দেশের আটটি ইপিজেডের মোট জমির প্রায় দেড়গুণ। এসব জোন হতে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন ঠিকানা। এসব ইজেডে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা দেয়া ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিচে এই ১০টি ইজেডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো-
আবদুল মোনেম ইজেড: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আবদুল মোনেম লিমিটেড নির্মাণ করছে ২১৬ একর জমির ওপর এই বেসরকারি ইজেড। তবে এটি ৩০০ একর পর্যন্ত প্রশস্ত করার সুযোগ রয়েছে। এটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৬১ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ৭০ মিটার, মেঘনা ঘাট থেকে ৬০০ মিটার এবং মংলা বন্দর থেকে ৩১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে এখানে। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, অটোমোবাইল ও এক্সেসরিজ শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
এ কে খান ইজেড: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাঙ্গা নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি ইজেড। ২০০ একর জমি নিয়ে নির্মিতব্য এই ইজেড ঢাকা থেকে স্থলপথে ৫৬ কিলোমিটার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫৭ কিলোমিটার, নরসিংদী থেকে ১৫ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি ৩২০ কিলোমিটার নদীপথে এই ইজেডে মালামাল আনা-নেয়া করা যাবে। ৭৮ মিলিয়ন ডলারে নির্মিতব্য এই ইজেডে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আমান ইজেড: ১৫০ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বদ্দার বাজারে। বেসরকারি এই ইজেডে ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এটি মঙ্গাপাড়া চৌরাস্তা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৬৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এটি নির্মাণ করছে আমান গ্রুপ। এখানে কর্মসংস্থান হবে আনুমানিক ১৫ হাজার মানুষের। সিমেন্ট, প্যাকেজিং, শিপইয়ার্ড, খাদ্য ও পানীয়, পোল্ট্রি ও ফুড ফিশ, স্টিল মিলস ও পাওয়ার প্লান্ট শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে।
বে ইজেড: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। ৪০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেডে সড়কপথে ঢাকা থেকে ৩৪ কিলোমিটার, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ২২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৯২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, জুতার সামগ্রী ও এক্সেসরিজ, কৃষিভিত্তিক পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আইটি, কেমিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক ও লাইট মিডিয়াম ইকুইপমেন্ট শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে।
মেঘনা ইজেড: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা ঘাটের পাশেই নির্মাণ হচ্ছে বেসরকারি এই ইজেড। মোট ২৪৫ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেড শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৩৮ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এখানে পাল্প ও কাগজ, টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, পাওয়ার প্লান্ট, অয়েল রিফাইনারি, ফ্লাওয়ার মিল, পিভিসি প্লান্ট, পেট্রোকেমিক্যালস, সিরামিক ও এলপিজি প্লান্টসহ যে কোনো শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে। আনুমানিক ১৭০ মিলিয়ন ব্যায়ে নির্মিতব্য এই ইজেডে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইজেড: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ছোট শিলমান্দিতে ৮০ একর জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটির অবস্থান শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৩৪ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩৪ কিলোমিটার ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে। প্রায় ১২৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই ইজেডে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখানে ফার্মাসিউটিক্যাল বোতল, সিরামিক, গার্মেন্টস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, অটো ব্রিকস, বেভারেজ, আইটি, আইটি এক্সেসরিজসহ যে কোনো শিল্প এখানে নির্মাণ হতে পারে।
মিরসরাই ইজেড (ফেস-১): সরকারের পরিকল্পনা আছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মোট ১৫ হাজার একর জমির ওপর নির্মিত হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর প্রথম ফেসে থাকছে ৫৫০ একর জমি। সরকারি এই ইজেড নির্মাণ করছে বেজা। এটির অবস্থান ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে। এখানে গার্মেন্টস ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল, মোটরবাইক/অটোমোবাইল এক্সেসরিজ ও শিপবিল্ডিং শিল্প স্থাপন করা যেতে পারে।
মংলা পাওয়ারপ্যাক ইজেড: এটি একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইজেড। সরকারি জমির ওপর এটির উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন লিমিটেড। মংলা সমুদ্রবন্দরের পাশেই ২০৫ একর জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে এটি। এখানে অ্যাপারেল, পাট, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এলপিজি ও শিপইয়ার্ড শিল্প নির্মাণ হতে পারে এখানে।
শ্রীহট্ট ইজেড: এই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইজেড নির্মাণ হচ্ছে মৌলভী বাজারে। ৩৫২ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেডের অবস্থান ঢাকা-সিলেট বিশ্বরোডের পাশেই। ঢাকা থেকে যার দূরত্ব ২০৮ কিলোমিটার ও সিলেট থেকে ৪০ কিলোমিটার। এখানে টেক্সটাইল (স্পিনিং, উয়েভিং, ডায়িং), সিরামিক, পেইন্ট অ্যান্ড গ্লাস মেকিং, খাদ্য প্রক্রিয়ারকণ প্রভৃতি শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্যতা রয়েছে।
সাবরাং ট্যুরিজম ইজেড: কক্সবাজারের সাবরাংয়ে রয়েছে পাহাড় ও সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব মেলবন্ধন। এখানেই দেশের প্রথম ট্যুরিজম ইজেড নির্মাণ হচ্ছে ১০২৭ একর জায়গাজুড়ে। এর অবস্থান টেকনাফ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে। এখানে হোটেল, ইকো-ট্যুরিজম, স্পা ট্যুরিজম, রিক্রিয়েশন ট্যুরিজম, বিজনেস ট্যুরিজম, স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সট্রিম ট্যুরিজম, ওয়াটার ট্যুরিজম, হেলথ ও এডুকেশন ট্যুরিজম সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এটি ২০১৮ সালে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে বেজা সূত্রে জানা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল

আপডেট টাইম : ০৯:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইজেড) মধ্যে ১০টির উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আজ। এগুলোর মধ্যে ছয়টি বেসরকারি এবং চারটি সরকারি। বেসরকারি ছয়টিই ঢাকার চারপাশে নির্মাণ হচ্ছে। আর সরকারি চারটি রয়েছে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও কক্সবাজারে। এই ১০টিতে মোট জমির পরিমাণ ৩০৬৫ একর, যা দেশের আটটি ইপিজেডের মোট জমির প্রায় দেড়গুণ। এসব জোন হতে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন ঠিকানা। এসব ইজেডে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা দেয়া ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিচে এই ১০টি ইজেডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো-
আবদুল মোনেম ইজেড: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আবদুল মোনেম লিমিটেড নির্মাণ করছে ২১৬ একর জমির ওপর এই বেসরকারি ইজেড। তবে এটি ৩০০ একর পর্যন্ত প্রশস্ত করার সুযোগ রয়েছে। এটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৬১ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ৭০ মিটার, মেঘনা ঘাট থেকে ৬০০ মিটার এবং মংলা বন্দর থেকে ৩১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে এখানে। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, অটোমোবাইল ও এক্সেসরিজ শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
এ কে খান ইজেড: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাঙ্গা নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি ইজেড। ২০০ একর জমি নিয়ে নির্মিতব্য এই ইজেড ঢাকা থেকে স্থলপথে ৫৬ কিলোমিটার, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫৭ কিলোমিটার, নরসিংদী থেকে ১৫ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি ৩২০ কিলোমিটার নদীপথে এই ইজেডে মালামাল আনা-নেয়া করা যাবে। ৭৮ মিলিয়ন ডলারে নির্মিতব্য এই ইজেডে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আমান ইজেড: ১৫০ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বদ্দার বাজারে। বেসরকারি এই ইজেডে ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এটি মঙ্গাপাড়া চৌরাস্তা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৬৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এটি নির্মাণ করছে আমান গ্রুপ। এখানে কর্মসংস্থান হবে আনুমানিক ১৫ হাজার মানুষের। সিমেন্ট, প্যাকেজিং, শিপইয়ার্ড, খাদ্য ও পানীয়, পোল্ট্রি ও ফুড ফিশ, স্টিল মিলস ও পাওয়ার প্লান্ট শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে।
বে ইজেড: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। ৪০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেডে সড়কপথে ঢাকা থেকে ৩৪ কিলোমিটার, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ২২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৯২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। চামড়াজাত পণ্য ও জুতা, জুতার সামগ্রী ও এক্সেসরিজ, কৃষিভিত্তিক পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আইটি, কেমিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক ও লাইট মিডিয়াম ইকুইপমেন্ট শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে।
মেঘনা ইজেড: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা ঘাটের পাশেই নির্মাণ হচ্ছে বেসরকারি এই ইজেড। মোট ২৪৫ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেড শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৩৮ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এখানে পাল্প ও কাগজ, টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, পাওয়ার প্লান্ট, অয়েল রিফাইনারি, ফ্লাওয়ার মিল, পিভিসি প্লান্ট, পেট্রোকেমিক্যালস, সিরামিক ও এলপিজি প্লান্টসহ যে কোনো শিল্প এখানে স্থাপন করা যেতে পারে। আনুমানিক ১৭০ মিলিয়ন ব্যায়ে নির্মিতব্য এই ইজেডে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইজেড: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ছোট শিলমান্দিতে ৮০ একর জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে এই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটির অবস্থান শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৩৪ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩৪ কিলোমিটার ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে। প্রায় ১২৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই ইজেডে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখানে ফার্মাসিউটিক্যাল বোতল, সিরামিক, গার্মেন্টস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, অটো ব্রিকস, বেভারেজ, আইটি, আইটি এক্সেসরিজসহ যে কোনো শিল্প এখানে নির্মাণ হতে পারে।
মিরসরাই ইজেড (ফেস-১): সরকারের পরিকল্পনা আছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মোট ১৫ হাজার একর জমির ওপর নির্মিত হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর প্রথম ফেসে থাকছে ৫৫০ একর জমি। সরকারি এই ইজেড নির্মাণ করছে বেজা। এটির অবস্থান ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে। এখানে গার্মেন্টস ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল, মোটরবাইক/অটোমোবাইল এক্সেসরিজ ও শিপবিল্ডিং শিল্প স্থাপন করা যেতে পারে।
মংলা পাওয়ারপ্যাক ইজেড: এটি একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইজেড। সরকারি জমির ওপর এটির উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন লিমিটেড। মংলা সমুদ্রবন্দরের পাশেই ২০৫ একর জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে এটি। এখানে অ্যাপারেল, পাট, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এলপিজি ও শিপইয়ার্ড শিল্প নির্মাণ হতে পারে এখানে।
শ্রীহট্ট ইজেড: এই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইজেড নির্মাণ হচ্ছে মৌলভী বাজারে। ৩৫২ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এই ইজেডের অবস্থান ঢাকা-সিলেট বিশ্বরোডের পাশেই। ঢাকা থেকে যার দূরত্ব ২০৮ কিলোমিটার ও সিলেট থেকে ৪০ কিলোমিটার। এখানে টেক্সটাইল (স্পিনিং, উয়েভিং, ডায়িং), সিরামিক, পেইন্ট অ্যান্ড গ্লাস মেকিং, খাদ্য প্রক্রিয়ারকণ প্রভৃতি শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্যতা রয়েছে।
সাবরাং ট্যুরিজম ইজেড: কক্সবাজারের সাবরাংয়ে রয়েছে পাহাড় ও সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব মেলবন্ধন। এখানেই দেশের প্রথম ট্যুরিজম ইজেড নির্মাণ হচ্ছে ১০২৭ একর জায়গাজুড়ে। এর অবস্থান টেকনাফ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে। এখানে হোটেল, ইকো-ট্যুরিজম, স্পা ট্যুরিজম, রিক্রিয়েশন ট্যুরিজম, বিজনেস ট্যুরিজম, স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সট্রিম ট্যুরিজম, ওয়াটার ট্যুরিজম, হেলথ ও এডুকেশন ট্যুরিজম সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এটি ২০১৮ সালে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে বেজা সূত্রে জানা গেছে।