হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের প্রথম মেট্রো রেল সেবার টেস্ট রান হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই যাত্রার মাধ্যমে রেল ব্যবস্থার প্রাথমিক কার্যক্রমগুলোকে পরীক্ষা করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে ২৪ মের মধ্যে এ পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামীকাল মঙ্গলবারে পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য নির্ধারিত দিনটির বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
মন্ত্রী রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে জাপান থেকে আনা প্রথম মেট্রো রেলটি সরেজমিনে দেখার জন্য যাবেন।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি-৬ নির্মিত হচ্ছে রাজধানীর উত্তরার তৃতীয় পর্যায় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং এ প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা।
নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ট্রেনটি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষকে পরিবহন করতে পারবে এবং ১৬টি স্টেশন থাকা সত্ত্বেও উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে এক ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। বর্তমানে এ পথে যাতায়াত করতে ন্যূনতম দুই ঘণ্টা প্রয়োজন হয়।
২১ এপ্রিল মেট্রো ট্রেনের প্রথম সেটটি জাপান থেকে ঢাকায় এসে পৌছায়, যা ফার্স্ট ট্র্যাক করা সরকারি প্রকল্পটির জন্য একটি বড় ধরনের মাইলফলক। দ্বিতীয় সেটটি গতকাল মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান এখনো রেল গাড়িগুলো হাতে পায়নি। কারণ, ঠিকাদার এখনো সেগুলোকে পরীক্ষা করে দেখছেন। এ প্রক্রিয়াটি শেষ হলে ট্রেনের টেন্ট রানসহ একটি সমন্বিত পরীক্ষা পরিচালনা করা হবে।
‘টেন্ট রানের সময় ট্রেনটি ডিপোর ভেতরের সব রেললাইনের ওপর দিয়ে চালানো হবে এবং তারপর ভায়াডাক্টেরের (রেল সেতু) ওপর দিয়েও চালানো হবে।’
‘পরীক্ষামূলক যাত্রার সময় মানুষ উঁচু দালানের ছাদ থেকে এই কার্যক্রমটি দেখতে পাবেন’, বলেন তিনি।
তিনি জানান, কবে এই টেস্ট রানটি অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঘোষণা দিবেন।
তবে, ডিএমটিসিএলের আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, এর সঙ্গে জড়িত সব ভারতীয় প্রকৌশলী এখনো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, এই মুহূর্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে মানুষের আসা-যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের মাঝে রেল সেবা ২০১৯ এর মধ্যে এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের মাঝে রেল সেবা ২০২০ সালের মধ্যে চালু করতে। তবে, এ সময়সীমা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়ে কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের মে’তে জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করবে।