ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসে কর্মহীন-দুঃস্থ শ্রমিকদের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
  • ১৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উপলক্ষে বলেছেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে কর্মহীন হওয়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তরের অনুকূলে এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কল-কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি শ্রমিকদের সহায়তার কথা তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমাদের সরকার। শ্রমিকদের সংকট মোকাবিলায় তাদের বেতনের জন্য সরকার ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এছাড়া মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও পৃথক এক বাণী দিয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। সেজন্য সরকারের পাশাপাশি শ্রমজীবীদের পাশে মালিকদেরও দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বরাবরের মতো এবারও মে দিবস পালিত হচ্ছে দেশে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি আজ। এবার মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’। মহামারি করোনাভাইরাস রোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে এবার মে দিবস কেন্দ্রিক কোনো আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি।

আজ মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। এ কারণে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। সেদিন শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেদিন থেকে দিনটি মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনাভাইরাসে কর্মহীন-দুঃস্থ শ্রমিকদের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:২৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উপলক্ষে বলেছেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে কর্মহীন হওয়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তরের অনুকূলে এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কল-কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি শ্রমিকদের সহায়তার কথা তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমাদের সরকার। শ্রমিকদের সংকট মোকাবিলায় তাদের বেতনের জন্য সরকার ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এছাড়া মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও পৃথক এক বাণী দিয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। সেজন্য সরকারের পাশাপাশি শ্রমজীবীদের পাশে মালিকদেরও দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বরাবরের মতো এবারও মে দিবস পালিত হচ্ছে দেশে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি আজ। এবার মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’। মহামারি করোনাভাইরাস রোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে এবার মে দিবস কেন্দ্রিক কোনো আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি।

আজ মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। এ কারণে শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। সেদিন শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেদিন থেকে দিনটি মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিন।