ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে হাওরে ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
  • ১৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মহামারি করোনাকালে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকেত না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে। এবার বোরোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এবছর বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হয়েছে, তারপরও ভাল ফলন হবে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও হাওরসহ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে সংকট থাকবে না। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীকৃষিমন্ত্রী শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামে হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাওরে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানামুখী কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের বিশাল জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উন্নত জাতের হাইব্রিড ধান দেয়া হবে। এছাড়া, হাওরের অনেক জায়গায় সেচের অভাবে জমি পতিত থাকে বা সেচের প্রয়োজন হয়। এসব জায়গায় সেচসুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন ও পুনঃখননের জন্য শীঘ্রই প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো: আবু জাহির, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ব্রির ডিজি ড. মো. শাহজাহান কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো: তমিজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।সফলভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের কোন সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীপরে কৃষিমন্ত্রী বানিয়াচংয়ের হাওরে ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ভর্তুকির আওতায় ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন। এছাড়া, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

যন্ত্র বিতরণ শেষে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন। ৭০% ভর্তুকিতে অর্থাৎ ২৮ লাখ টাকার কম্বাইন হারভেস্টারের ২১ লাখ টাকাই সরকার দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদরদী বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, হাওরে অনেক সময় আগাম বন্যা এসে ধান নষ্ট করে ফেলে। সেজন্য, দ্রুততার সাথে ধান কাটার জন্য যন্ত্র দেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি করে দেয়া হবে, ২ বছর পরে ধান কাটার যন্ত্রের কোন অভাব হবে না, হাওরে যত যন্ত্রের প্রয়োজন হবে তা দেয়া হবে।দৈনিক জনকন্ঠ || বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীকৃষিবিদ ড. রাজ্জাক আরও বলেন, গত বোরো মৌসুমে ধানের ভাল উৎপাদন হয়েছিল, কিন্তু আউশ- আমন মৌসুমে দফায় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন অনেক কম হয়েছিল। ফলে ধান চালের দাম অনেক বেশি ছিল। সেজন্য এ বছরের শুরুতেই আমরা সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম যে কোন মূল্যে বোরোতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের নানান উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর বোরোতে ৯- ১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।

কৃষিমন্ত্রী এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

করোনাকালে হাওরে ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মহামারি করোনাকালে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকেত না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে। এবার বোরোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এবছর বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হয়েছে, তারপরও ভাল ফলন হবে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও হাওরসহ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে সংকট থাকবে না। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীকৃষিমন্ত্রী শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামে হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাওরে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানামুখী কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের বিশাল জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উন্নত জাতের হাইব্রিড ধান দেয়া হবে। এছাড়া, হাওরের অনেক জায়গায় সেচের অভাবে জমি পতিত থাকে বা সেচের প্রয়োজন হয়। এসব জায়গায় সেচসুবিধা সম্প্রসারণের জন্য বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন ও পুনঃখননের জন্য শীঘ্রই প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো: আবু জাহির, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, ব্রির ডিজি ড. মো. শাহজাহান কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো: তমিজ উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।সফলভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের কোন সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীপরে কৃষিমন্ত্রী বানিয়াচংয়ের হাওরে ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ভর্তুকির আওতায় ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন। এছাড়া, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

যন্ত্র বিতরণ শেষে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন। ৭০% ভর্তুকিতে অর্থাৎ ২৮ লাখ টাকার কম্বাইন হারভেস্টারের ২১ লাখ টাকাই সরকার দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদরদী বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, হাওরে অনেক সময় আগাম বন্যা এসে ধান নষ্ট করে ফেলে। সেজন্য, দ্রুততার সাথে ধান কাটার জন্য যন্ত্র দেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি করে দেয়া হবে, ২ বছর পরে ধান কাটার যন্ত্রের কোন অভাব হবে না, হাওরে যত যন্ত্রের প্রয়োজন হবে তা দেয়া হবে।দৈনিক জনকন্ঠ || বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রীকৃষিবিদ ড. রাজ্জাক আরও বলেন, গত বোরো মৌসুমে ধানের ভাল উৎপাদন হয়েছিল, কিন্তু আউশ- আমন মৌসুমে দফায় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন অনেক কম হয়েছিল। ফলে ধান চালের দাম অনেক বেশি ছিল। সেজন্য এ বছরের শুরুতেই আমরা সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম যে কোন মূল্যে বোরোতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের নানান উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর বোরোতে ৯- ১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।

কৃষিমন্ত্রী এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।