মূল্য সূচক পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবসের লেনদেন। এদিন দেশের উভয় শেয়ারবাজারেই সূচকের পতন ঘটেছে। তবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৮৫৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর টানা আধঘণ্টা সূচক উর্ধ্বমুখী থাকে। ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক বাড়ে ২৫ পয়েন্ট। এরপর সূচক ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
বেলা সাড়ে ১১টায় সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে যায়। ১১টা ৪০ মিনিটে কমে ৪ পয়েন্ট, দুপুর ১২টায় কমে ৯ পয়েন্ট, একটায় কমে ২৯ পয়েন্ট, দুপুর ২টায় কমে ৬৫ পয়েন্ট।
লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৩১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮৫৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। যা আগের দিনের তুলনায় ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭১টি, কমেছে ২১৭টি এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- কেপিসিএল, গ্রামীণফোন, আরএকে সিরামিক, এসপিপিসিএল, বেক্সিমকো, ইইনাইটেড পাওয়ার, ওয়েস্টার্ন মেরিন, এসিআই ফর্মুলেশন, এএফসি অ্যাগ্রো ও সাপোর্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক ১১০ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টি, কমেছে ১৭৩টি ও অপরিবর্তীত রয়েছে ২০টি।