হাওর বার্তা ডেস্কঃ সউদী সরকার আগামী ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য দেশটিতে ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।
সউদী মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আবু থুনিয়ানের সঙ্গে সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠক বিনি ওই আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত সউদী আরব ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমানভাবে অবদান রেখে চলেছে এমন প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশিকর্মীর সউদী আরবে বসবাস এবং তাদের চাকরির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
জাবেদ পাটোয়ারী দেশটিতে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শ্রম সংস্কার উদ্যোগ চালু করার জন্য সউদী সরকারকে ধন্যবাদ জানান, যা সউদী আরবে বসবাসরত সব অভিবাসীকর্মীকে উপকৃত করছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, বিপুলসংখ্যক নারী গৃহকর্মী এই উদ্যোগের বাইরে রয়েছেন এবং গৃহকর্মীদের সউদী শ্রম সংস্কার উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি উপমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
উপমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ আবু থুনিয়ান জানান, সউদী আরবের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, সউদী শ্রম সংস্কার উদ্যোগের বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সরকার গৃহকর্মীদের এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে, যদিও বর্তমানে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আরও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী আগামী ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণকে ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য সউদী সরকারের ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র এবং বৃক্ষরোপণে দক্ষতা রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে সউদী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। জবাবে উপমন্ত্রী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি এ অনুরোধটি প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট কৃষিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা এবং টিকা সরবরাহের জন্য সউদী সরকারকে ধন্যবাদ জানান, যা অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়ে চলেছে। বৈঠকে দুপক্ষ শ্রম সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে সউদী মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ আল রাশুদী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এসএম আনিসুল হক, বাংলাদশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং কাউন্সেলর মো. হুমায়ুন কবীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।