ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৫৪ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে নবনির্মিত শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতু, নারায়ণগঞ্জের পানি শোধনাগার এবং সিলেট অঞ্চলে ১৬টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এরই মধ্যে দেশে ১৪,৫০০ মেটাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ কামাল সেতু নির্মাণে ৬৫ কোটি টাকা এবং ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ জামাল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এর আগে শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধন হয়েছে।

এছাড়া ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের ১৬টি সেতুর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ১১টি এবং সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ৫টি সেতু। এ ১৬ সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা।

নির্মিত এ সেতুগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ, জাতুয়া, বাউস, চেচাং, রাউলি, আহছানমারা, মনবেগ কাকুরা, কোনাগ্রাম, পরচক, সাতপরি, সাজাতপুর।

প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু ও শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

তিনি ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট শেখ রাসেল সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন। শেখ কামাল সেতু ও শেখ জামাল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ দুইটি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতু নির্মাণের ফলে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মিত হওয়ার পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ পর্যটন শহর হিসেবে কুয়াকাটা গড়ে উঠবে। বঙ্গোপসাগরের বিশাল মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বাজারজাতকরণ সহজ, ব্যয় ও সময়-সাশ্রয়ী হবে। অনগ্রসর জনপদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৩১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে নবনির্মিত শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতু, নারায়ণগঞ্জের পানি শোধনাগার এবং সিলেট অঞ্চলে ১৬টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এরই মধ্যে দেশে ১৪,৫০০ মেটাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ কামাল সেতু নির্মাণে ৬৫ কোটি টাকা এবং ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ জামাল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এর আগে শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধন হয়েছে।

এছাড়া ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের ১৬টি সেতুর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ১১টি এবং সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ৫টি সেতু। এ ১৬ সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা।

নির্মিত এ সেতুগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ, জাতুয়া, বাউস, চেচাং, রাউলি, আহছানমারা, মনবেগ কাকুরা, কোনাগ্রাম, পরচক, সাতপরি, সাজাতপুর।

প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু ও শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

তিনি ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট শেখ রাসেল সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন। শেখ কামাল সেতু ও শেখ জামাল সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ দুইটি সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতু নির্মাণের ফলে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মিত হওয়ার পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ পর্যটন শহর হিসেবে কুয়াকাটা গড়ে উঠবে। বঙ্গোপসাগরের বিশাল মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বাজারজাতকরণ সহজ, ব্যয় ও সময়-সাশ্রয়ী হবে। অনগ্রসর জনপদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে।