টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত গত মওসুমের ত্রিমুকুটধারীরা। এমনই এক ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কিভাবে নিজেদের দুর্গকে সুরক্ষিত রাখবে আর্সেনাল?
আজ (মঙ্গলবার) রাতেই, কয়েক ঘণ্টা পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচে বার্সার মুখোমুশি হওয়ার আগে সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। আর্সেনাল ম্যানেজারের মন্তব্য, ‘মেসি, নেইমার এবং সুয়ারেজ তো স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে। তারচেয়েও বড় ব্যাপার ওদের অন্তরঙ্গতা এবং একে অপরের প্রতি আস্থা এতটাই অবাক করে দেওয়ার মতো যে, এর বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করা উচিত, সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।’
তবে মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যাচ্ছে অভিজ্ঞ আর্সেনাল গুরুর চোখমুখ। বলছেন, ‘যেহেতু আগে হোম ম্যাচ খেলব, তাই নিজেদের প্রতিও বিশ্বাস হারাচ্ছি না। আমাদের দলেও যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। হয়তো আমরা ওদের হারিয়েও দিতে পারি! ফুটবলারদের বলেছি, নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবলটা খেলতে। বড় মঞ্চে আর্সেনালও সেরা ফুটবল উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’
বার্সা ত্রিফলার বোঝাপড়া যে কত উঁচুমানের, তা বোঝাতে গিয়ে ওয়েঙ্গার টেনে এনেছেন লা লিগায় সেল্টা ভিগো ম্যাচের প্রসঙ্গ। যে ম্যাচে নিজে ৩০০তম গোল না করে মেসি পেনাল্টি থেকে পাস দিয়েছিলেন সুয়ারেজকে। তা নিয়ে ওয়েঙ্গারের মন্তব্য, ‘মেসির মতো ফুটবলার যখন সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করানোর কথা ভাবে, তখন বুঝতে হবে তার একটা গভীর অর্থ রয়েছে এবং আমার মনে হয়েছে, ত্রিফলার মধ্যে অবিশ্বাস্য ধরনের অন্তরঙ্গ মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে সুয়ারেজ-ই। ও দলের মধ্যে নতুন একটা শক্তি এনে দিয়েছে, যেটা আমি লক্ষ্য করেছি সুয়ারেজ যখন লিভারপুলে খেলত। তাই ওকে শান্ত রাখতেই হবে।’
যদিও আর্সেনাল ম্যানেজারের বক্তব্যে প্রভাবিত হচ্ছেন না লুইস এনরিকে। বার্সেলোনা ম্যানেজারের পাল্টা মন্তব্য, ‘ওয়েঙ্গারের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। এ ধরনের ম্যাচে কীভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হয়, সেটাও উনি ভাল জানেন। তাই আমরা সতর্ক হয়েই ম্যাচটা খেলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোনও অবস্থাতেই যেন আমাদের বিরুদ্ধে গোল না হয়।’
ঘটনা হল, ফুটবলার হিসাবে ১৯৯৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে আর্সেনালের বিরুদ্ধে দু’টি লেগেই গোল করেছিলেন লুইস এনরিকে। মজা করে বার্সা ম্যানেজার বলেছেন, ‘কোচিংয়ের চেয়ে মাঠে নেমে গোল করা অনেক বেশি সহজ! আমাকে এখন অনেককিছু চিন্তা করতে হয়।’ তবে বার্সা শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে চোট কাটিয়ে জেরার্ড পিকে ফেরায়। পাশাপাশি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সের্জিও বুস্কেটসও ফিরছেন। এনরিকে বলেছেন, ‘দারুণ একটা ম্যাচ হবে বলে মনে হচ্ছে। তাই সেরা দলকে মাঠে রাখতে চাই।’